টাঙ্গাইলে ছানোয়ার হোসেনের নির্বাচনী সিএনজি ও মাইক ভাংচুর

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ ছানোয়ার হোসেনর নির্বাচনী সিএনজি ও মাইক ভাংচুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৭ ডিসেম্বর সন্ধায় শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে মডেল টাউন প্রাইমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিউল্লাহ আল মনিরের উপস্থিতে এ হামলা করা হয়। এতে তিনজন আহত হয়েছে। এরপর টাঙ্গাইল স্মৃতি পৌর উদ্যানে ছানোয়ার হোসেনের পোষ্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।

টাঙ্গাইলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন টাঙ্গাইলে মহাজোটে একটু জামেলা আছে মহাজোটে প্রার্থী লাঙ্গল থাকবে এবং নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এর পর থেকেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিউল্লাহ আল মনির দ্রুত নিজে টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে একক প্রার্থী ঘোষনা করে রড় হকি ষ্টীক রড় দিয়ে বানানো হাত লাঙ্গল নিয়ে গাড়ি বহর শহরে শোডাউন করে এসময় তার উপস্থিতে তার কর্মীবাহিনীরা নৌকা মার্কার নির্বাচনী গাড়ি সিএনজি মাইক ভাংচুর করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন কোন কিছু বুঝার আগেই তারা এ হামলা চালায় এতে ক্যাপসুল মার্কেটের জন সাধারন আতঙ্গ ছড়িয়ে পরে। কিন্তু পীরজাদা মুনির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি নির্বাচনকে ঘিরে উপ্তত্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে দফায় দফায় সর্বহারা সন্ত্রাসী বাহিনীদের নিয়ে মিটিং করে টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসে রাজ্বত কায়েম করার চেষ্টা করছে। তিনি আরোও বলেন আমি কোন দল করি না তবে আমার পরিবার এবং আমাদের দেশের জনগনের নিরাপত্তা চাই । যেখানে এই সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন। সেখানে কোন প্রকার ঝামেলা হতে পারে না এটা কাম্য নয়।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে জাতীয় পার্টি এক নেতা বলেন পীর মনির আওয়ামীলীগের প্রার্থী না হতে পেরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জাতীয় পাটির লেজুরাবৃত্তি করে টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসী বাহিনী রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টি মহা সমাবেশে পার্টির চেয়ারম্যান হোসেন মুহাম্মদ এরশাদের সামনেই মোজাম্মেল হক সাহেবের কর্মীদের উপর হামলা চালায়।

সে নির্বাচন আচারণ বিধিও লঙ্গন করছেন লাইন ধরে ১৫-২০টি সিএনজি করে উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে শব্দ দূষন সৃষ্টি করছে এবং তার নির্বাচনী অফিসে রঙ্গিণ ব্যানার পোষ্টারও দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন বলেন প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স বক্তব্যর পর কোন কিছু বুঝার আগেই তিনি গাড়ি বহর করে এসে আমার নির্বাচনী গাড়ি ও নৌকা মার্কার পোষ্টার ও ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে আমার কর্মীদের মারধর করেছে এ বিষয়ে আমি মামলা করবো তার প্রক্রিয়া চলছে।