চকরিয়ায় দিন-দুপুরে চিংড়ি ঘের ডাকাতি, আহত এক

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাশের রিংভং মৌজার আর এস ২২৬ ও ২৩১ খতিয়ানের ২০ একরের চিংড়ি ঘেরে ১১ ডিসেম্বর ৩টার সময় হেলাল বাহিনীর হেলালের নেতৃত্বে অবৈধ অস্ত্রধারী ১০-১২ জনের সিন্ডিকেট ডাকাত দল অতর্কিত অবস্থায় চিংড়িঘের ডাকাতি সহ লুট-পাট করে। এতে গুরুতর আহত হন অত্র ঘেরের শেয়ার হোল্ডার গিয়াস উদ্দিন।
জানা যায়, চিংড়ি ঘেরের শেয়ার হোল্ডার গিয়াস উদ্দিন ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা মাঝের পাড়া গ্রামের শের আলীর পুত্র।
ঘটনাসূত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিন-দুপুরে রিংভংয়ের ২০একর চিংড়ি ঘেরে হঠাৎ করে কুখ্যাত ডাকাত হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের সিন্ডিকেট ডাকাত দলেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে আহত গিয়াসকে হাত-পা-মুখ বেঁধে বেধড়ক মার-ধর করে কোথায় নিয়ে যায়।
পরে আমরা এলাকায় খবর দিলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা খোঁজাখোঁজি করে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছি।
পরে দ্রুত চিকিৎসার জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আহত গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার চিংড়ি ঘেরের শেয়ার হোল্ডার অত্র ১নং ওয়ার্ডের মোঃ আলীর পূত্র বাহাদুল হককে অত্র ঘেরের শেয়ার থেকে বের করে দিলে তার মদদে এঘটনা ঘটানো হয়।
এ ঘটনায় ডাকাতেরা ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে না দেওয়ায় হঠাৎ ডাকাতেরা আমার চিংড়ি ঘেরে হানা দেয় এবং ঘেরের বাসায় থাকা মাছ বিক্রির নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল সেট ও মাছ অস্ত্র ঠেকিয়ে এসব লুট-পাট করে। পরে অত্র ইউপির ২নং ওয়ার্ডের ডুমখালী এলাকার জাফর আলমের পুত্র অর্ধ-ডজন মামলার আসামী হেলাল উদ্দিন।
একই এলাকার ফরিদুল আলমের পুত্র সরোয়ার আলম ও তার ভাই সালাহ উদ্দিন, এ ছাড়াও জামাল উদ্দিনের পুত্র রবিউল আলম, জাফর আলমের পুত্র বেলাল উদ্দিন ও ১নং ওয়ার্ডের মৃত গোলাম আহমদের পুত্র আক্তারুজ্জামান সহ মুখ-চেনা আরো ৭-৮জনের মত ডাকাত ছিল। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হবে।