মধুপুরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা ,স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২


টাঙ্গাইলের মধুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে নার্গিস আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বোয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহতের স্বামী হারুনুর রশিদ (৪০) ও তার সহযোগি সোহেল রানা (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম মাস্টার জানান, তার বোনের সাথে মধুপুর উপজেলার ধামাবাসুরী গ্রামের খালেকের পুত্র হারুনুর রশিদের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কোন বনিবনা ছিল না। বুধবার রাতে আমার বোন নার্গিসকে গলা কেটে হত্যা করে। আমি এ ব্যাপারে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা (নং- ০৬, তারিখ- ০৬/১২/১৮) দায়ের করি। আমি আমার বোন হত্যার সঠিক বিচার ফাঁসি চাই।
নিহত নার্গিস এর মামাতো ভাই মধুপুর উপজলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক তিনি জানান, আমার মামাতো বোন নিহত নার্গিসের স্বামী হারুন মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রী কে নার্গিস খুন হওয়ার ঘটনাটি জানায়। আমরা সংবাদ পেয়ে স্ব-পরিবারে তাদের বাসায় গিয়ে দেখি নার্গিসের গলাকাটা নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। আমি এঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ আঠার বছর আগে ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা এলাকার আনিছুর রহমান মাষ্টার এর মেয়ে নার্গিস কে পাশর্^বর্তী মধুপুর উপজেলার ধামাবাসুরী গ্রামের খালেকের পুত্র হারুনুর রশিদের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। কখনই তাদের সংসারে সুখ-শান্তি ছিল না। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক শালিসী বৈঠকে মিমাংসা করে সংসারটি টিকে ছিল। স্ত্রী নার্গিস কখনই স্বামী হারুনের বাধ্য ছিল না। এ কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারের পর হারুন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বলেন স্ত্রী নার্গিস ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সে তার পা চেঁপে ধরে এবং সহযোগী সোহেল রানা চাকু দিয়ে জবাই করে তাকে হত্যা করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। আসামীদের কে টাঙ্গাইল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।