ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

মির্জাপুরে তিন ক্লিনিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, সোমবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৪৫০

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার মির্জাপুর উপজেলা সদর ও গোড়াই এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

রংধনু, বিকাশ ও আলমদিনা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, মির্জাপুরে ৭৫০ শয্য কুমুদিনী হাসপাতাল থাকার পরও উপজেলা সদর, পাকুল্যা, জামুর্কী, গোড়াই, দেওহাটা, বাঁশতৈলসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাঙের ছাতার মত ৩১টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই। নেই সার্বক্ষনিক চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স। যেসব ক্লিনিকের লাইসেন্স রয়েছে তারা আবার নিয়মিত নবায়নও করছেন না। এছাড়া অধিকাংশ ক্লিনিকে নেই রোগী সেবার পরিবেশ।

সোমবার সকালে মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে উপজেলা সদরের আল মদিনা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন না করা, অপরিচ্ছন্ন প্যাথলজি রাখা ও প্রশিক্ষণবিহীন নার্স রাখার অপরাধে ২০ হাজার টাকা, সদরের বিকাশ হাসপাতালে অনুমোদনের অতিরিক্ত বেড রাখার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা এবং গোড়াই হাটুভাঙ্গা রোডের রংধনু ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারকে আবাসিক চিকিৎসক না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, প্রশিক্ষিত নার্স না থাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন না করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এসময় মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: শাহরিয়ার সাজ্জাত উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মো. আজগর হোসেন জানান, ক্লিনিক মালিকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উলে­খ করেন।#