বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাল্টা চাঁদাবাজীর মামলা

চকরিয়া কক্সবাজার সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, শনিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৮ | ৫৫৮
চকরিয়ায় আদালতে ৩ বনকর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরোদ্ধে পাল্টা চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেছে চিহ্নিত বনমামলার আসামীর পিতা । মোহাং ইউসুফ নামের হারবাং এর ওই ব্যক্তি গত ১৩ নভেম্বর চকরিয়ার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করেছে এ মামলা। চুনতি বনরেঞ্জার,বিটকর্মকর্তা ও এক এফজিকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। 
 
মামলার বাদীর পুত্র গং ইতিপুর্বে বনভুমি জবর দখলের অভিযোগে একাদিক বন মামলার আসামী। আসামী কর্তৃক বনকর্মকর্তার বিরোদ্ধে মামলায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
 
বাদী হারবাং নুনাছড়ি এলাকার মোহং ইউসুফের অভিযোগে জানাযায়, তার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার হারবাং বাজারের পার্শ্বে বাড়ী করে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিল চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুর রহমান, হারবাং বনবিট কর্মকর্তা রউফুল ইসলাম এবং এফজি নাছির উদ্দিন বাদীর মেয়ে হারবাং ষ্টেশনপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ইয়াছমিনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে এবং দফায় দফায় আরো টাকা দাবি করছে। টাকা না পেয়ে বাড়ীঘর উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে।
 
আসামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বনকর্মকর্তা রউফুল ইসলাম জানান, মামলার বাদীর পুত্র মিরানুল ইসলাম একজন চিহ্নীত বনদস্যু সিন্ডিকেট প্রধান। বনদস্যু মিরানের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সংঘ বদ্ধ বনদস্যু প্রতিনয়ত বনভুমি জবর দখল করে দখল বিক্রি ও বনের মুল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গিয়ে বনকর্তৃপক্ষকে অতিষ্ট করে তুলার অভিযোগ রয়েছে। কথিত বাদীর কন্যা ইয়াছমিনের ঘরটি ও বনভুমিতে। এ ছাড়া ও এখনো বেশ কিছু বনভুমি তাদের জবরদখলে রয়েছে। সরকারী বন ধ্বংশের অভিযোগে মিরানের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত ৪টি বন মামলা রয়েছে।
 
বনভুমি দখলে বাধা দেয়ায় ও জবর দখলকরা জমি ছেড়ে দেবার কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে বনদস্যু মিরানের বাবা মোহাং ইউসুফ ও তার মেয়ে ইয়াছমিনকে ব্যবহার করে বনমামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করছে। মামলায় তিনি ছাড়া ও চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুর রহমান এবং এফজি নাছির উদ্দিনকে আসামী করা হয়েছে। তিনি বলেন, তারা সবাই চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের কর্মকর্তা কর্মচারী। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
 
সংশ্লিষ্ট বন সংরক্ষক ফাহিম মাসুদের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুর রহমান, হারবাং বনবিট কর্মকর্তা রউফুল ইসলাম এবং এফজি নাছির উদ্দিন আমার বনবিভাগের কর্মকর্তা। কিন্তু মামলার ব্যাপারে আমাকে এখনো কেউ জানান নি।  
 
এদিকে একটি সুত্র জানায়, হারবাং বনবিটে কর্মরত এফজি নাছির একজন দুষ্কৃতকারী। এলাকার বনদস্যু সিন্ডিকেটের সাথে হাত রেখে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় বনদস্যুরা বেপরোয়া। সুত্রের দাবী দুর্নিতীবাজ এফজি নাছিরকে বদলী করা হলে হারবাং বনভুমি জবর দখল কমবে শতভাগ।