নাটোরে কমলা চাষে কৃষকের চমক

ফিরোজ আহমেদ, নাটোর
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৮ | ৪১৪

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় মাল্টা চাষের পর এবার কমলা চাষের সাফল্যে চমক সৃষ্টি হয়েছে। সাধারনত এ অঞ্চলে কমলা চাষ না হলেও উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের সাজেদুর রহমান নিজ উদ্যোগে কমলা বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। ফলে তিনি কমলা বাগান বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছেন। তার এ সফলতায় আরো অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

সম্ভবানাময় ফসল হিসেবে ভবিষ্যতে এ ফল চাষ আরো স¤প্রসারণ হতে পারে বলে কৃষি কর্মকর্তাদের আশা। কৃষক সাজেদুর রহমান জানান, তিনি ২০১৬ সালে দিনাজপুর থেকে সংগৃহিত নাটোরের একটি নার্সারী থেকে চারা সংগ্রহ করে কমলা চাষ শুরু করেন। বাড়ির পাশে লীজ নেয়া সোয়া দুই বিঘা জমিতে উপজেলায় প্রথম চাষী হিসেবে তিনি চারশ’ গাছের কমলা বাগান করেন।

গত বছরেই অল্প কিছু গাছে কমলা ধরা শুরু করে। ওই বছর তিনি কেজি প্রতি ৮০টাকা দরে সাত মণ কমলা বিক্রি করেছেন। চলতি বছর তার বাগানের সবক’টি গাছে কমলা ধরেছে। ইতিমধ্যে কমলা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। চলতি বছরে বাগান থেকেই কেজি প্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে কমলা বিক্রি হচ্ছে। তিনি এ বছর ৭০ থেকে ৮০ মণ ফলনের আশা করছেন।

তিনি মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত কমলা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির আশা করছেন। হালকা টক মিশ্রিত সুমিষ্ট এ ফলের স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকায় এ বছর তিনি প্রায় দ্বিগুন জমিতে কমলা চাষের পরিকল্পনা নিয়েছেন।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী জানান, বেশ কয়েক বছর আগেই এ উপজেলায় মাল্টা চাষে সফলতা এসেছে। মাল্টার পর এবার কমলা চাষেও সফলতা এলো। সাধারনতঃ এ অঞ্চলে কমলা চাষ হয়না কিন্তু কৃষক সাজেদুরের সফলতায় চমক সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় সম্ভবানাময় ফসল হিসেবে ভবিষ্যতে এ ফল চাষ আরো স¤প্রসারণ হতে পারে।