পঞ্চগড়ে মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ


পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলার রনচন্ডী বাবুরাম জোত এলাকার মোঃ আবুল কাশেমের পুত্র মুফতী মোহাম্মদ মহীউদ্দীন (নোমানি) গত ০৬/১১/২০১৮ইং তারিখে তেঁতুলিয়া শালবাহান নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র কে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠলে লম্পট মুফতী মোহম্মদ মহীরউদ্দীন (নোমানি) মাদ্রাসার থেকে পালিয়ে যায়।
প্রতক্ষ্য দোষীরা জানান, শিক্ষক নোমানি এর আগেও আরও ২টি ঘটনা ঘটান। লজ্জার ভয়ে মুখ না খোলার কারণে শিক্ষক নোমানি তখন ছাড় পেয়ে যায়। এবার ছাত্র কে বলাৎকার করলে সে তার সহপাঠিকে জানালে বিষয়টি কানে কানে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্রর বাবা এ বিষয়ে মাদ্রাসার কমিটি সভাপতি মোঃ একরামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, প্রিন্সিপাল মোঃ হাফেজ কামরুজ্জামান কে অভিযোগ করলে টের পেয়ে লম্পট মুফতী মোহাম্মদ মহীউদ্দীন (নোমানি) পালিয়ে যায়।
ছাত্র মনিরের পিতা ও তার গ্রামের লোকজনেরা জানায়, এই শিক্ষক নোমানি আগেও আরও ২টি এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। এবার আমরা এর বিচার চাই। লম্পট শিক্ষক নোমানির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ কামরুজ্জামান ও সভাপতি তাৎক্ষনিক ভাবে থানায় মৌখিক অভিযোগ জানান। এবং লম্পট শিক্ষক মুফতী মোহম্মদ মহীউদ্দীন (নোমানি) এর বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ করেন।
তবে লম্পট শিক্ষক পালিয়ে যাওয়ার কারণে বিষয়টির কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ তবে এ বিষয়ে মুফতী মোহম্মদ মহীউদ্দীন নোমানির ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে, তিনি জানান, মাদ্রাসার বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ভাইকে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ শুধু এটাই নয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রায় স্কুল, মাদ্রাসায় এর ধরনের অশালিন ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।
টাকার বিনিময়ে ও ক্ষমতার জোড়ে এইসব অসামাজিক অন্যায় চাপা পড়ে যাচ্ছে। তাই সাপ মেড়ে লেজে বিষ রাখার কারণে সমাজ ও সুশিলসমাজের মানুষ নিরুপায় হয়ে হাইহুতাশ ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই। আমাদের সমাজে আইন আছে, অনেক ক্ষেত্রে তা ভালো ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। তাই শালবাহান এলাকা বাসীর দাবী এই সব মুখোশধারী লম্পট শিক্ষকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া দরকার বলে, দাবি জানান শালবাহান বাসী।