সরকার বলছে, ‘তৃতীয় শক্তি আনার ফাঁকফোকর’
প্রধানমন্ত্রীকে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা সরকারের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্টের


ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছে নতুন রাজনৈতিক এ জোট।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় সংলাপে কামাল হোসেন এ প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবগুলো হলো
১. বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি।
২. প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়া।
৩. ১০ সদস্যের নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন।
৪. নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে এই সংলাপ শেষ হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে তা অগণতান্ত্রিক তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ফাঁকফোকর বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংসদ ভেঙে দিয়ে জানুয়ারির পর পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আমরা এটিকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ফাঁকফোকর বলে মনে করি। যা কোনো পক্ষের জন্য শুভ হবে না।
দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় সংলাপ শেষে তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হয় না, তবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী নির্বাচনে থাকবে। নির্বাচনের সময় মন্ত্রী-সাংসদরা কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা গ্রহণ করবেন না।
সত্যিকারের রাজবন্দি হলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেও জানান কাদের।
কাদের জানান, কাল সংবাদ সম্মেলনে এই কয়দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিস্তারিত তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর কোনো সংলাপ হবে না, তবে আলোচনা চলতে পারে বলেও ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক জানান।