নীলফামারীতে রাস্তার কাজ বন্ধ দূর্ভোগে এলাকাবাসী


নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের যমুনাশ্বেরী নদীর ওপর নয়ানখাল পাকা রাস্তা হতে চন্ডিরবাজার ইসমাইল রাস্তায় ৬৯ মিটার আরসিসি সিপাইডাঙ্গা গার্ডার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরেই বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ।
ফলে দু’টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষজন যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুই ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকারের আমলে তিন কোটি ১২ লাখ সাত হাজার ৫৪ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে কাজটি পায় গোপালগঞ্জ জেলার খন্দকার বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী গত ১১ এপ্রিল ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি না করে স্থানীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করার জন্য চুক্তি সম্পাদন করে।
চলতি বছরের ১২ জুলাই ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ শওকত চৌধুরী। কিন্তু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরে সিডিউল অনুযায়ী মালামাল না আনায় ব্রিজটির কাজ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা প্রকৌশলী কেরামত আলী নান্নু জানান, নির্মাণ কাজের নীতিমালায় বেসিন প্লান্ট মেশিন ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সেই নির্দেশনা না মেনে কাজ শুরু করেন। ফলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি নির্মাণে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সিডিউল সরবরাহের শেষ তারিখ আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খন্দকার বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী একেএম ফাইমুজ্জান জানান, নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী স্থানীয় অন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার সঙ্গে কাজের চুক্তি বাতিল করেন।
এলাকাবাসী লুত্ফর রহমান, জিয়াউর ইসলাম, মতিয়ার রহমান, আজগার আলী ও আব্দুস ছালামসহ আরো অনেকেই বলেন, ব্রিজটির কাজ শুরুর কয়েকদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তা অনিশ্চিত। ব্রিজের কাজ সময়মত না হলে আমাদের দুর্ভোগ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
নীলফামারী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেনকে ফোন দিলে সে জানান, আমি দিনাজপুরে একটি মিটিংয়ে আছি।