মির্জাপুরে থামছেনা বাল্য বিয়ে, ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার্থী


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জেএসসি ও জেডিসি প্রথম দিনের পরীক্ষায় ১২২ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। এরমধ্যে ছাত্রী ৭৩ এবং ছাত্র ৪৯ জন। বাল্য বিবাহের শিকার হয়ে অধিকাংশ ছাত্রীই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রথম দিনের পরীক্ষায় খোজ নিয়ে এবং শিক্ষক অভিভাবকদের কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আইন অমান্য করে এবং প্রশাসনের নজরদাড়ি সত্বেও মির্জাপুরে বাল্য বিয়ে থামছেনা বলে সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এ বছর মির্জাপুর উপজেলার ৫৪টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩ হাজার ৭৩ জন এবং ছাত্রী ৩ হাজার ৪১৭ জন। প্রথম দিন অনুপস্থিত ৮৩ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ২৩ জন এবং ছাত্রী ৬০ জন।
অপরদিকে উপজেলার ১৪টি মাদ্রাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৪৬০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ২৫৮ জন এবং ছাত্রী ২০২ জন। প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৩৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ২৬ জন এবং ছাত্রী ১৩ জন।
বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত সম্পর্কে অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানিয়েছেন, যে সব পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত তাদের অধিকাংশই বাল্য বিবাহের শিকার হয়ে শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে পরেছে। উপজেলার কয়েকটি ভেন্যুতে খোজ নিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
বাল্য বিয়ে সমাজে একটি অভিশাপ। মির্জাপুর উপজেলা এ অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারছেন্ াবাল্য বিয়ে নিরোধে রয়েছে আইন। স্থানীয় প্রশাসনও সোচ্চার। এলাকার কাজীদের বাল্য বিয়ে না পড়াতে শপত, কিশোরী ক্লাব গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামুলক সভার আয়োজন করা হয়।এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়শই ঠেকিয়ে দেয়া হচ্ছে বাল্য বিয়্।ে এত কিছুর পরও মির্জাপুরে বাল্য বিয়ে থেমে নেই।
/শামসুল ইসলাম সহিদ