আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও গৃহবধু রুমিকে খুঁজে পায়নি পরিবার


প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না টাঙ্গাইল পৌরসভার আদি টাঙ্গাইল বেড়াবুচনা গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান ভুট্ট এর স্ত্রী সামিয়া জামান রুমি (৩৯ কে। সে একই গ্রামের মো. ফজলুল হকের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই শুক্রবার দুপুরে তার পিতার বাড়ি হতে তাদের ছোট ছেলে মো. মুনতাসীভীন তাসীন (৩)কে সাথে নিয়ে উদাও হয়ে যায়। তারপর থেকে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ী খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি গৃহবধু রুমিকে। অবশেষে গত ১ আগস্ট সামিয়া জামান রুমির স্বামী মো. জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
যার জিডি নং ৫০, তারিখ ০১-০৮-২০১৮ ইং। বিষয়টি রুমির পরিবারকে জানালে স্বামী মো. জিয়াউর রহমান ভুট্টোকে মারধরসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে রুমির পরিবার। এমন অবস্থায় রুমি স্বামী নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্য ১২ আগস্ট আরেকটি সাধারণ ডায়েরী করে টাঙ্গাইল মডেল থানায়।
এ বিষয়ে রুমির স্বামী মো. জিয়াউর রহমান ভুট্ট বলেন, রুমি আমার স্ত্রী ও শ্বশুরের মেয়ে। তাকে খুজে বের করার দায়িত্ব দুই পরিবারেরই দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু রুমি খোঁজাখুঁজিও করছে না শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। শ্বশুড় বাড়িতে আমার নিজের টাকায় বিল্ডি করছি। সেই ধন সম্পদের লোভে আমার স্ত্রী’কে গুম করে রাখছে আমার শ্বশুরবাড়ী লোকজনেররা।
রুমির বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে কথা বললে তারা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ওই এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকছি বলে সেখানে গিয়েও আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে তারা। আমি সব দিক দিয়ে সর্বহারা হয়ে গেছি। আমার ধন সম্পদ ভোগ করছে তারা অপর দিকে আমার ছেলে ও স্ত্রীকেও গুম করে রাখছে তারা।
এ বিষয়ে জিডি করার পরও আইনগতভাবে আমি কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না। তবে কেউ যদি আমার স্ত্রী ও ছেলেকে খুজে দিয়ে পারে তাহলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।