মির্জাপুরে ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক

এক বছর ধরে বন্ধ থাকায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৪৭৪

জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়া সরকারের যে লক্ষ তা অনেকাংশেই বিঘ্নিত হচ্ছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রামে। উপজেলার ছয়টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এক বছর যাবত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) না থাকয় ওই গ্রাম গুলোর মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তর রোয়াইল কমিউনিটি ক্লিনিকের বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুতের লাইনও বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লিবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মির্জাপুরে ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে। পরে বিএনপি- জামাত জোট ক্ষমতায় আসার পর এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় এসে গ্রাম এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো স্বচল করে। সম্প্রতি বিভিন্ন কারনে ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি শুন্য হয়ে পড়ে। এগুলো হল লতিফপুর ইউনিয়নের বরদাম, উয়ার্শী ইউনিয়নের উত্তর রোয়াইল, তরফপুর ইউনিয়নের তরফপুুর, বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া এবং বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক।

সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে উত্তর রোয়াইল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান বিদের দায়িত্ব দেওয়া এবং বাকি পাঁচটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি চাকরি নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ওই ক্লিনিকগুলো গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এসব ক্লিনিকগুলো বন্ধ থাকায় প্রতিদিন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা গ্রাম এলাকার সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। কোথাও কোথাও স্বাস্থ্য সহকারীদের দিয়ে চালানোর চেষ্টা করলেও তা ঠিকমত হচ্ছেনা বলে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে। উত্তর রোয়াইল কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বেলা বারটায় ক্লিনিকে তালা ঝুলছে। তা ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকটির কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ আট হাজার ১৫৬ টাকা বকেয়া থাকায় বিদ্যুতের লাইনটিও কেটে দেওয়া হয়েছে।

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাত জানান, উত্তর রোয়াইল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি প্রেষণে তাঁর অফিসে পরিসংখ্যান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে পাঁচটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।