নীলফামারীতে হতদরিদ্রের সোলার প্যানেল বিত্তবানদের ঘরে

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৫৯৬
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের হতদরিদ্ররা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না উপজেলা থেকে দেওয়া সোলার প্যানেল। এমন অভিযোগ করেছেন দরিদ্রদের অনেকেই।
 
বরাদ্দ করা সেই সোলার প্যানেল বিত্তশালীদের মধ্যে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করারও অভিযোগ করেছেন তারা। ফলে আলোহীন অবস্থায় আছে উপজেলার হাজার হাজার হত দরিদ্র পরিবার। 
 
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের ঘনিষ্ঠ লোকেদের মধ্যে এসব সোলার প্যানেল বিতরণ করছেন। 
 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫১৪ টি সোলার প্যানেল বিতরণ করা হয়। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং গ্রামীণ সংস্কার কর্মসূচির আওতায় এ সব বিতরণ করা হয়েছিল।  
 
তালিকা অনুযায়ী গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বদরুল আলমের ছেলে বকুল হোসেনের নামে ও আবু তালেবের ছেলে রহমত আলীর নামে দুটি একশো ওয়ার্টের সোলার প্যানেল বরাদ্দ থাকলেও ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় তারা দুজনেই ওই গ্রামের বাসিন্দা নন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তারা গনেশের বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। 
 
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখারুল ইসলাম বলেন, যাদের নামের তালিকা আছে তারাই সোলার প্যানেল পেয়েছেন। ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার করে টাকা নেওয়ার বিষয়ে কথা জানালে তিনি বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। 
 
বকুল হোসেন ও রহমত আলী অন্যের নাম দিয়ে তাদের দোকানে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছেন। কত টাকা দিয়ে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছেন প্রশ্ন করলে বকুল ও রহমত সাংবাদিকদের কোন কথা না বলে কেটে পড়েন।
 
এছাড়া একশ ওয়াটের সোলার প্যানেল পেয়েছেন গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম, গোলজার রহমান, জিল্লুর রহমান, সালমান মিয়া, মোতাহারা, জাহিদুল, মাগ্রড়া ইউনিয়নের চন্দন কুমার, শফিকুল ইসলাম, দিনেশ চন্দ্র সরকারসহ অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি।