বিটেক কলেজ ছাত্র মাসুম হত্যা-রহস্য চার মাসেও জট খুলেনি
আসামীদের প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করার অভিযোগ


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র মাসুম সিকদারের হত্যার মুল রহস্যের প্রায় চার মাসেও জট খুলতে পারেনি পুলিশ ।
আসামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোরাফেরা করছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাক্তিরা মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় বিবাদীরা বাদীকে মিমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে।
ফলে মাসুমের পরিবার আতংকে রয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২ জুন মাসুম গুরুতর আহত হয়। পরে (৪জুন)বেলা ৩ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তিনি কালিহাতী উপজেলার বাড্ডা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্ররা সোসাইটি অব বিটেক স্টুডেন্ট (এস.বি.এস.)নামের ১লা জুন একটি কমিটি গঠন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন শনিবার দুপুরে ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই কমিটির সভাপতি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল এবং সাধারন সম্পাদক মাসুম সিকদার আহত হয়।
পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মাসুম সিকদারের অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করলে ৪ জুন রবিবার বেলা ৩ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এব্যাপারে আহত আশরাফুলের বাবা ঘটনার দিন রাতেই বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। এদের মধ্যে এক আসামী উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার র্শতে জামিন পায় ।
বাকী আমামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোরাফেরা করছে এবং মামলাটি নিষ্পত্তি করার লক্ষে আপোষ-মিমাংসার চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মাসুমের পরিবারের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এসআই কুতুব উদ্দিন জানান, আসামীরা সবাই ছাত্র তারা বিভিন্ন জেলার থাকায় তাদের গ্রেফতার করার সম্ভব হচ্ছে না। আপোষ-মিমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি শুনেছি দুই পক্ষ গোপনে মিমাংসার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তবে আমি আমার কার্যক্রম যথাযথ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৩য় বর্ষের এক ছাত্র জানান, মাসুম হত্যার বিষয়টি ভিন্ন খাতে চলে যাচ্ছে। ফলে কলেজের ছাত্ররা ক্ষোভে ও আতংকে রয়েছে।