কর্মসূচি অব্যাহত রাখা জরুরি
প্রভাব পড়ছে চালের বাজারে


ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিন মন্ত্রীর বৈঠক, অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান ও জেলা-উপজেলা-মহানগরীতে খোলাবাজারে সরকারি চাল বিক্রির প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। কমতে শুরু করেছে সব ধরনের চালের দাম।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে বলে আশা করা যায়। দেশে দুই দফায় বন্যা ও ধানের ব্লাস্ট রোগের কারণে এবার উৎপাদন কম হয়। সরকারের মজুদ কমে যাওয়ার প্রভাবও পড়ে বাজারে, বেড়ে যায় চালের দাম।
শুরুতেই যখন বাজারে চালের দাম বাড়ছিল, তখনই ব্যবস্থা নিলে আজকের পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না বলে অনেকের ধারণা। সরকার নিজের মজুদ হিসাব করে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে পারলে কারসাজি করার সুযোগ ব্যবসায়ীদের থাকত না।
সরকারের মজুদ বাড়ালে ও আরো আগে বিকল্প বিপণনব্যবস্থা চালু করা গেলে বাজারে তার প্রভাব পড়ত। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিলেও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রভাব পড়ত না। আমদানি শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
শুরুতেই আমদানি শুল্ক নিম্নহারে নির্ধারণ করা হলে ব্যবসায়ীরা আরো আগে চাল আমদানিতে উৎসাহিত হতেন। তাতে বাজারে চাপ বাড়ত না। বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া গেলে চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ থাকত না।
কথিত সিন্ডিকেটও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেত না। একই সঙ্গে বলতে হবে বাজারে নজদারির বিষয়টি। এই অভিযান আরো আগেই শুরু করা যেত। সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করত।
দেরিতে হলেও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে ওএমএস কর্মসূচি ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের সর্বত্র। বাড়াতে হবে ট্রাকের সংখ্যা। তাহলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। চাপমুক্ত থাকবে সাধারণ মানুষ।