শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছাত্র


চুয়াডাঙ্গায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেত্রাঘাতে এক শিশু শিক্ষার্থীকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। মাহফুজ মামুনের পাঠানো তথ্য ও ছবি নিয়ে রিপোর্ট।
পিঠের গুরুতর জখম নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে দামুড়হুদার লোকনাথপুর গ্রামের ৭ বছরের এতিম শিশু শহীদ।
স্বজনদের অভিযোগ, ২৬ জুন স্কুলে পড়া বাদ দিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করার অপরাধে শিক্ষক উম্মে ছালমা খাতুন শহীদকে বেত দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এতে পিঠে আঘাত পায় সে। সোমবার সকালে শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
চুয়াডাঙা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. তারিক হাসান শাহিন বলেন, 'আঘাতের স্থানে এখন রক্ত জমা আছে, এটি অপারেশন করে বের করতে হবে। দুয়েকদিন পর অপারেশন করবো।'
এদিকে, মারধরের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক বলছেন, খেলতে গিয়ে আঘাত পেয়েছে শিশুটি।
লোকনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উম্মে সালমা খাতুন বলেন, 'আমি ওদের মারিনি। শুনেছি যে ও বেঞ্চ থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছে। শত্রুতামূলকভাবে আমাকে ফাসানো হয়েছে।'
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, 'এভাবে যদি আমরা বাচ্চাদের মারপিট করি, তাহলে তো স্কুলমুখীই হবে না। তাহলে তো স্কুলই ত্যাগ করবে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।'
তবে, তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকী সালাম।
তিনি বলেন, 'রিপোর্টে যদি প্রমাণ হয়, বেত্রাঘাত করা হয়েছে, তাহেল অবশ্যই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।'
বাবা হারা শিশু শহীদ নানীর কাছে থেকে লোকনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে।