দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

কালিহাতীতে ছাত্রলীগের চাঁদাবাদী

কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, বুধবার, ১৩ জুন ২০১৮ | ৫২১

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেছেন নারান্দিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, গত ১২ জুন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কিছু সদস্য নারান্দিয়া বাজারের ব্যবসায়ী থ্রী স্টার স্টীল দোকানের মালিক লিয়াকত হোসেনের নিকট ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। লিয়াকত হোসেন তাদের ৫শত টাকা দিতে চাইলে ছাত্রলীগের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়।

১৩ জুন বুধবার সকালে নারান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জনি, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন দলবল নিয়ে এসে লিয়াকত হোসেনের দোকানে গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এবং নারান্দিয়া বাজারে ব্যবসা করলে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি প্রদান করে। কিন্তু লিয়াকত হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ঐ ছাত্রলীগ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে লিয়াকত হোসেনকে দোকান থেকে বের করে দেয় এবং লাঞ্চিত করে। পরে বাজারের সকল ব্যবসায়ী প্রায় ঘন্টাব্যাপী দোকান বন্ধ করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে।

এ বিষয়ে থ্রী স্টার স্টীল দোকানের মালিক লিয়াকত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কিছু সংখ্যক ছেলে আমার দোকানে এসে ফুটবল খেলার জন্য ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি ওদের চিনি না। তাদের সম্মান রাখার জন্য আমি ৫শত টাকা দিতে গেলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং বলে এখন উক্ত টাকা টাকা না দিলে পরে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। না হয় আমাকে মারবে। পরের দিন ১৩ জুন বুধবার সকালে আরোও ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে এসে আমাকে আমার দোকান থেকে টেনে বের করে দেয়। পরে বাজার কমিটিসহ আশেপাশের ব্যবসায়ীরা এসে ওদেরকে বিদায় করে।

নারান্দিয়া বাজার কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মামুদ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজীর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা কোন চাঁদাবাজীর বিষয় নয়।ওরা ছাত্রলীগ নয়, কিছু উৎসাহিত লোকজন ঈদের পরের দিন ফুটবল খেলবে এ নিয়ে দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। দোকানদার নিজেও একটু খারাপ আচরন করেছে।

১০ হাজার টাকা চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওইটা কথা কাটাকাটির পরে হয়েছে। পরে আমি গিয়ে ধমক দিয়ে বিষয়টি ঠিক করে দিয়েছি।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এনসিএস ক্লাবের কিছু পোলাপান ফুটবল খেলার জন্য কার্ড দিয়ে কিছু সহযোগীতা চেয়েছিল ।বিষয়টি আমি আগে জানতাম না, এটা আজ জানার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওদের তাড়িয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে ছাত্রলীগ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।