নন্দীগ্রামে আউশ চাষে ঝুঁকছে কৃষক

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, রোববার, ২৭ মে ২০১৮ | ৫০৯

বগুড়ার শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রামে আউশ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক। মূলত অল্প খরচে বেশি লাভ তাই দিন দিন আউশ চাষে ঝুঁকে পড়েছে নন্দীগ্রামের কষৃকরা। ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই আউশ ধান চাষ।

কিন্তু কৃষি অফিসের পরামর্শ ও অপরদিকে এবার বোরো ধানের লোকশান পুষিয়ে নিতে কৃষকরা এখন আবার একই জমিতে আউশ ধানের চারা রোপন করেছে । এবছর নন্দীগ্রাম কৃষি অফিস থেকে ৮ হাজার ২শত ৫৭ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল । কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান জমিতে আউশ চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর সময়মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকদের বাড়তি কোন সেচের প্রয়োজন হয় নি।

বর্তমানে আউশ ধান লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে । আউশ ধান লাগাতে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষক। এ আউশ ধান চাষ অনেকটা লাভজনক ফসল কারন হিসেবে বলা যায় এ ধান চাষে বর্ষা সময় থাকে ফলে বাড়তি সেচের প্রয়োজন হয় না ফলে প্রতি বিঘায় কৃষকরা ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচ কম হয় । আবার সার কম লাগে, সে তুলনায় ফলন ও দাম পাওয়া যায় বেশি। এদিক থেকে বলতে গেলে আউশ ধান একটি লাভ জনক ফসল।

সরজমিনে উপজেলার হাটলাল মাঠে গিয়ে দেখা যায় অনেক জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে, এসময় ঐ গ্রামের সালাম, আব্দুল কাদের, করিম, আল-আমিন সহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা এই প্রতিনিধিকে জানান, মূলত আউশ ধান চাষে খরচ কম লাভ বেশি। আমরা প্রতি বছর আউশ ধান চাষ করে থাকি ।

এবার পাঁচ জাতের ধান চাষ করেছি। এজাতের ধান উৎপাদন খরচ কম হয় আবার ফলন ও দাম দুটোয় বেশি এক কথায় বলতে গেলে লাভ জনক ফসল এটা । যদি বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে অনেক টা লাভ হবে বলে আশা করছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহা. মশিদুল হক বলেন, গত বছরের চাইতে এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে।