ঠাকুরগাঁওয়ে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা


ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা সাংবাদিককে টাকার বিনিময়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা সদরের উপজেলা জামালপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে ১৩ বছরের কিশোরি ধর্ষিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক খাদেমুলের সাক্ষাৎকার নিতে তার বাড়িতে গেলে সে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ধর্ষকের ভাতিজা আলমগির ।
ধর্ষিতার বড় বোন ফারজিনা বলেন, আমার পিতা ধর্ষক খাদেমুল কে উকিল দেওয়ার সুবাদে সে প্রায় সময় আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করত।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মে আমার ছোটবোন আমাকে এসে বলে গর্ভে ধারণ করা বাচ্চা কোথায় নষ্ট করা হয়? আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমার স্বামী আখতারুল কে জানালে আমার স্বামী বিষয়টি শুনার পরে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছ থেকে ডেলিভারি চেক করার জন্য বেষ্ট লেডি চেক নামক একটি কাঠি কিনে নিয়ে দেয় এবং পরীক্ষা করে আমরা বুঝতে পারি যে আমার বোন গর্ভবতী। পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ধর্ষিতার চাচা আলম বলেন, বিষয়টি এক প্রকার আপোষ মীমাংসার কথা হয়েছে। গোপনে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা জানালেন ধর্ষিতার চাচা আলম।
আলম আরো বলেন, আমরা এক লক্ষ টাকার ঊর্ধে চেয়েছি হয় টাকা দিবে না হয় খাদেমুল ওই মেয়েকে বিয়ে করবে।
ধর্ষিতার বড় বোন ফারজিনা বলেন, আমি খাদিমুল এর উপযুক্ত বিচার চাই।
কিশোরীর পিতা ফজর আলী ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন আমি গরিব মানুষ কোথায় থেকে যে কি হয়ে গেল আমি ভেবে পাচ্ছিনা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর আরো বলেন, ধর্ষক খাদেমুল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করে নাই।
ঠাকুরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মুঠোফোনে জানান এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।