মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গিয়ে ভবিষ্যত অনিশ্চিত কিশোর খাইরুলের


খায়রুল ইসলাম। বয়স পনেরর একটু উপরে। ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে পড়ালেখা ছেড়ে বেছে নেয় কাজ।
বছর দুয়েক আগে ভূঞাপুর উপজেলার শিয়ালকোল তেলের পাম্প সংলগ্ন সবুজ মটরস নামে একটি গ্যারেজে কাজ শুরু করে। কিশোর বয়সে পরিশ্রম করে আয়ের মাধ্যমে সংসারের হাল ধরছিলো ভালোভাবেই।
এ বছরের ৩ জানুয়ারি তার জীবনে নেমে আসে দুর্যোগ। ওইদিন গ্যারেজে কাজ করছিল খায়রুল। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তার গ্যারেজের সামনে থেকে পাশের দোকানের সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে ইয়াবাসহ আটক করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
এসময় পুলিশের সাথে সোহেলের ধস্তাধস্তি হয়। দাড়িয়ে থেকে বিষয়টি দেখে ওই জায়গা থেকে চলে আসে কিশোর খায়রুল। পরে এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার এএসআই বাবুল বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় খায়রুলকে ৭ নম্বর আসামী করা হয়। এ মামলায় খায়রুলের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয়া হয়েছে।
খায়রুল জানায়, ঘটনা আমি যে গ্যারেজে কাজ করি তার সামনে হওয়ায় আমি দাড়িয়ে দেখি। আমি কোন কিছু করিনি। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমি নির্দোষ।
খায়রুলের পিতা আবুল কাশেম জানান, আমার ছেলে অনেক সহজ-সরল সে এ কাজ করতে পারেনা। আমি আমার ছেলের অব্যাহতি চাই। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারুন বলেন, মামলার তদন্তকালে খায়রুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ায় তার নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।