বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মধুপুরে : প্রাণ নাশের আশঙ্কা


বৈদ্যুতিক খুঁটিতে প্রাণ নাশের আশঙ্কা এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে।
সরেজমিনে,মধুপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি দাড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে পরিত্যক্ত লোহার খুঁটিও রয়েছে। যে কোন সময় এসব খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের দাবী করে এলাকাবাসী ও পৌর কর্তৃপক্ষ অনেকবার বিদ্যুত বিভাগকে জানালেও কোন কাজ হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পৌর সভার মাদ্রাসা পাড়া,বোয়ালী,পন্ডুড়া,রায়পাড়া,মাস্টারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি। ৬ নং ওয়ার্ডের মাদরাসা পাড়ার রাজীবের বাসার সামনে রয়েছে পরিত্যক্ত লোহার খুঁটি। যে কোন সময় খুঁটিটি ভেঙ্গে পড়তে পারে।
স্থানীয় রাজীব সাহা জানান,পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে বারবার জানালেও কোন কাজ হয়নি। পরে আমরা পৌর মেয়রের কাছে খুঁটি অপসারণ করানোর দাবি জানিয়েছি। আবু বকর সিদ্দিক জানান,যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা। তাই মেয়র সহ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অবিলম্বে এর আশু ব্যবস্থা কামনা করছি।
ভ‚ইয়া মাহবুব লতিফ জানান,লোহার বৈদুতিক খুঁটিটি এখনো যে দাঁড়িয়ে আছে, আমি তাতেই আশ্চর্য্য হচ্ছি! ভাই দেখে মনে হয় বৈদ্যুতিক খুটি নয় এ যেন মরণ ফাঁদ, আমরা পৌর মেয়রসহ সংশিষ্ট প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আল্লাহ না করুন কোন দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই বিদ্যুৎ বিভাগকে অভিহিত করা দরকার বলে মনে করি।
পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ পরিত্যক্ত ঝুকিপূর্ণ লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য লিখিত অনুরোধও করেন বলে জানান। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ বিষয়টির কর্ণপাত করেনি। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে।
পৌর কাউন্সিলর মো.হুমায়ূন কবির জানান, বারবার জানালেও পল্লী বিদ্যুৎ ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি অপসারণ করছেন না। তিনি জানান, এসব খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মধুপুর পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ জানান, পৌর সভার মধ্যে ২২/২৩টি ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। খুঁটিগুলো সরিয়ে ফেলতে ডিজিএমকে লিখিতভাবে জানান। কাজ হয়নি,শেষ পর্যন্ত জিএমকে মোবাইলে বলেছি। তারপরও কোন কাজ হয়নি।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মধুপুর জোনাল ম্যানেজার নূরুল শামছুল হুদা জানান, ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য পৌর সভার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে শ্রীঘই ব্যবস্থা নেয়া হবে।