মুখোশধারী ধর্মযাজকদের প্রতিহত করুন : ইনু

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, রোববার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | ৬১১

ধর্মের মুখোশ পরা ধর্মনাশি ধর্মযাজকদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

রোববার রাজধানীর কমলাপুরে ঐতিহাসিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ধার্মিকরা ধর্মচচা করেন আর ধর্মের মুখোশধারী বা ধর্মযাজকরা ধর্মনাশ করে। তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও শান্তির বাণী প্রচার করে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন। মহামতি বুদ্ধ এবং সব ধর্মের অনুসারীদের সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় মুখোশধারী ধর্মযাজকদের প্রতিহত করতে হবে।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ধর্ম ও শান্তির আদর্শ নিয়মতান্ত্রিক জীবনের শিক্ষা দেয়। আর দণ্ডিত অপরাধীকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার নির্লজ্জ অপচেষ্টাকারীরা যেমন আইন মানে না, তেমনি ধর্মও মানে না। সে কারণেই রাজাকার-জঙ্গি-জামায়াত ও তাদের দোসররা সব ধার্মিক ও শান্তিপ্রিয় মানুষের শত্রু। শান্তির পথে আগুয়ান হতে এদের সমবেতভাবে প্রতিহত করতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে এদিন পূজা-অর্চনার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ ও সমবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করে।

হিংসা বিসর্জন করে শান্তি ও সুখের মন্ত্রে সারাদেশে রোববার ১৬ বৈশাখ উদযাপিত হচ্ছে বুদ্ধ পূর্ণিমা। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এদিনে তিনি সাধনায় বোধিজ্ঞান লাভ করে বুদ্ধ নামে খ্যাত হন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এদিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ বা দেহত্যাগ করেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের বিশেষ বাণীতে গৌতম বুদ্ধ ও তার আদর্শকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন।