জামিনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দে মেতে ওঠেন সালমানের অনুগামীরা। রীতিমতো বাজি ফাটিয়ে উৎসবে মাতেন তাঁরা। পাশাপাশি, সালমানের জামিনের রায়ে স্বস্তিতে বলিউডও। কারণ, সালমানের পিছনে মু্ম্বইয়ে এই মুহূর্তে লগ্নির পরিমাণ ৪০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা। তিনি জেলে থাকলে অনেক ছবিই আটকে যেত।
যদিও এ দিন সকাল থেকে সালমানের জামিন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কারণ, শুক্রবার বিচারক রবীন্দ্রকুমার জোশী-সহ ৭২ জনকে বদলির নির্দেশ দেয় প্রশাসন। তবে, বিচারক বদলির এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সাত দিন সময় লাগে। সে জন্য এ দিন জোশীর এজলাসেই হয় সালমানের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি।
২০ বছর আগেকার কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজা পাওয়ার পর থেকেই সালমানকে রাখা হয় জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে। শুক্রবার রাতে তাঁকে ডাল, রুটি, তরকারি খেতে দেওয়া হয়। জেল সূত্রে খবর, বিচারক বদলির খবর পেয়ে তিনি নাকি অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি।
জোধপুর দায়রা আদালতের জামিনের আবেদন জানিয়ে সালমানের তরফ থেকে বলা হয়, যে সাক্ষীদের কথার উপর ভিত্তি করে এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মন্তব্য মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। শুক্রবার বেশ কিছু ক্ষণ শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক রবীন্দ্রকুমার জোশী।