মধুপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী নির্যাতনের শিকার!


টাঙ্গাইলের মধুপুরের শোলাকুড়ী গ্রামে স্বামীর হতে স্ত্রী নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ী ইউনিয়নের শোলাকুড়ী গ্রামের স্বামীর হাতে স্ত্রী ঝরনা বেগম(৫০) এর স্বামী গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা ফকির কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বিয়ের পর তাদের সংসার বেশ সুখেই চলছিল দুই কন্য সন্তানের মা হওয়ার পর থেকেই তার শশুর বাড়ীর লোকজনের কু-পরামর্শে গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা ফকির তার স্ত্রী ঝরনা বেগম কে বিভিন্ন ভাবে শারিরিক মানসিক নির্যাতন করে আসছে।
ঝরনা বেগম(৫০)সাংবাদিকদের জানান, আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে আমার স্বামী আমাকে না জানিয়ে আমাদের এই শোলাকুড়ী এলাকায় জৌশনি নকরেক নামে এক বিবাহিতা ১ সন্তানের জননী উপজাতি গারো মহিলা কে গোপনে বিয়ে করেন। তার পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে ঐ উপজাতি গারো মহিলা দ্বিতীয় স্ত্রী আমার স্বামীর দুই ছোট ভাই দুলাল ফকির(৪৯), আলাল ফকির(৪৬) এদের যোগ সাজসে আমাকে বিভিন্ন সময় শারিরিক মানসিক নির্যাতন করতো।
উপজাতি গারো মহিলা বিয়ে করার পর থেকে তার প্রথম স্ত্রী ঝরনা বেগম কে অনেক সময় নামায না পড়ার জন্য ঝগড়া ও মারপিট করতো।আহত ঝরনা বেগম আরো জানান, এদের যোগসাজসে আমাকে মেরে ফেলা উদ্দেশ্যে গত ২৯ মার্চ তারিখে আমার স্বামীর পাশেই পীরগাছা এলাকায় বাগান বাড়ী সন্ধ্যায় কাজ করে দেওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে তার স্বামী মদ পান করে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতভর এলোপাথারী বেধডক মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ফালা দিয়ে মেলে ফেলতে চাইলে অনেক আকুতি মিনতি করার পর কোন মতে জীবন ভিক্ষা নিয়ে রাত আনুমানিক ২ টার সময় বাগান বাড়ীর পাশের জঙ্গলে পালিয়ে রাত যাপন করে ভোর হওয়ার সাথে সাথেই বাড়ী চলে আসে ।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আহত ঝরনা বেগম কে তার দুই মেয়ে ও মেয়ের জামাই তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে বলে স্বজনরা জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা ফকির এর বাড়ীর পড়া প্রতিবেশীরা জানান, গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা ফকির একজন নেশাগ্রস্থ খারাপ প্রকৃতির লোক। তার স্ত্রী কে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করে। আর উপজাতি গারো মহিলা বিয়ে করার পর থেকে তার প্রথম স্ত্রী ঝরনা বেগম কে অনেক সময় নামায না পড়ার জন্য ঝগড়া করতো।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার এস আই হুমায়ুন ফরিদ জানান, আমারা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত করেছি।