ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে যেসব খাবার

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, রোববার, ১ এপ্রিল ২০১৮ | ৫২১

মানুষের দেহে খাবার এমন একটি উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে, রোগ প্রতিরোধ ও শরীরের বৃদ্ধিসাধন করে। আবার বেশ কিছু খাবার মানসিক রোগ প্রতিরোধেও সাহয্য করে। ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা মানসিকভাবে রোগীকে অনেক দুর্বল করে দেয়। তাই ক্যান্সার নিরাময়ে সহায়ক এসব খাবার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো-

শস্যজাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে ম্যাঙ্গানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ইনফেকশন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন ই পাওয়া যায় উদ্ভিদ জাতীয় খাবার শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেল, শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদিতে। এ ভিটামিন ই ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

চীনাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ম্যাগনেসিয়াম, টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
চকোলেট, আইসক্রিম, কোকো, গোশত, ডিমের কুসুম, শিং মাছ, সুগন্ধি মশলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে।

ঘি, দুধজাতীয় খাবার, ডালে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।

ভিটামিন এ থাকে লালশাক, পুঁইশাক, গাজর, আম, কলা, পেঁপে ও রঙিন ফলে। মলাঢেলা মাছ, দুধ, ডিমে বিটাক্যারোটিন থাকে, যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রুটি, ময়দা, আটা, চা পাতার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন আছে; যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।

সামুদ্রিক মাছ, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম, ইলিশ মাছের তেলের মধ্যে শেলিনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে, যা শ্বেতকণিকা ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এই তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।