মির্জাপুরে অপহরনের তিনদিন পর যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার,গেফতার ৩


মির্জাপুরে অপহরনের তিনদিন পর রানা মিয়া(২১) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।রানা মিয়াকে কোমল পানির সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে শ্বাসরোধ ও বেøড দিয়ে পুচিয়ে হত্যা করেছে দুস্কৃতকারীরা। রানাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ গজারি বনে ফেলে তার মোটরসাইকেলটিও নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
রানা মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জাপুর থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। রানা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
পুলিশ সুত্র জানান, গত ২৫ আগস্ট সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে ফতেপুর গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাত (২০) রানাকে মোবাইল ফোনে কালিয়াকৈরের শিলাবৃষ্টি ফিলিং স্টেশনের কাছে ডেকে নেন।
কিছুক্ষণ পর আরাফাতের দুই সহযোগী গাজিপুরের বারইপাড়া গ্রামের মো. ওসমান মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (২৫) ও হাফিজুর রহমানের ছেলে টুটুল মিয়া (২০) সেখানে আসেন। তারা কোমল পানীর সাথে রানাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ান। রানা এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়লে রানাকে মাঝখানে বসিয়ে তিন দুস্কৃতকারী ওই মোটরসাইকেলে চেপে কালিয়াকৈরের ফলবাড়িয়ার পাইকপাড়া গজারি বনে নিয়ে যান। সেখানে আরাফাত গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ পায়ে বেল্ট বেঁধে রানাকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় বেøড দিয়ে পুচিয়ে জখম করা হয়।
এদিকে সোমবার বেলা সাড়ে বারটার দিকে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ ও সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জহির ফতেপুর ইউপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সন্দেহমূলকভাবে রানার প্রতিবেশি আরাফাতকে আটক করে। পরে আরাফাত পুলিশের কাছে রানা হত্যার বর্ণনা দেন।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে মির্জাপুর থানা পুলিশ গাজিপুরের বারইপাড়া এলাকা থেকে রানা মিয়া ও টুটুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। এসময় টুটুলের সাথে থাকা শাকিল মিয়াকেও আটক করা হয়। পরে তাদের দেখানো স্থান ফুলবাড়িয়ার পাইকপাড়া গজারির বন থেকে রাতে রানার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকারীরা রানার মোটরসাইকেলটি পাবনা এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেছে বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন। পরে শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা রানার মোটরসাইকেলটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই রানাকে হত্যা করে গজারির বনে ফেলে রাখে।