আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮ | ৪৩৩

কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।

একই সঙ্গে শুক্রবার মসজিদ-মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনাসভা আয়োজনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সরকারী-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়েছে।

বুধবার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী হতাহতদের খোঁজখবর নিয়ে তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের ময়নাতদন্তের পর, দেশে এনে শনাক্তের বিষয়ে নেপালের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী। বুধবার সকালে, কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান এ কে এম শাহজাহান কামাল।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে মরদেহ শনাক্ত করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। কিছু নিয়ম-কানুন আছে, এগুলো শেষ করে মরদেহ দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে।
 
এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের সেবা দিতে বাংলাদেশের ৭ সদস্যের চিকিৎসক দল আগামীকাল নেপাল যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা.সামন্তলাল সেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য মারাত্মক আহত ডা. রেজওয়ানুল হককে রাতে নেপাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, ইউএস বাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা। এছাড়া কাঠমাণ্ডুতে আপাতত ফ্লাইট না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বিকেলে বারিধারায় সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

অন্যদিকে, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে আরও চারদিন সময় লাগতে পারে। এ পর্যন্ত ১৮ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্নে আরও ২১ দিন সময় লাগবে।

সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ৭১ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউএস বাংলার-'বিএস টু ওয়ান ওয়ান' বিমানটি। বিমানের ৭১ আরোহীর মধ্যে পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুসহ ৩৬ বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপ ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫০ জন মারা গেছেন। এই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান বাংলাদেশের ২৬ জন।

এমএমআর