নন্দীগ্রামে আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, মঙ্গলবার, ৬ মার্চ ২০১৮ | ৪৮৪

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চলতি আলুর মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, এ বছরে নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৪হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ মাত্রা নিধারন করা হয়েছিল ।

কিন্ত কৃষকদের অতি উৎসাহের কারনে লক্ষ মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আলু চাষ হয়েছে । কৃষকরা এবছর উ্চ্চ ফলনশীল আলু হিসাবে ডায়মন্ড, কাডিনাল , এসট্রেজ, রুমানা, পাকড়ি, জাতের আলু বেশী চাষ হয়েছে। অত্র উপজেলার আলুচাষী রিধইল গ্রামের হাবিবুর রহমান, জয়নাল, বুলু, অব্দুল জলিল, অব্দূল বাছেদ, বীরপলি গ্রামের হাজী রুহুল আমিন, জয়নাল আবেদীন, শাহিন , কাথম গ্রামের, আলতাব আলী, আব্দুল রশিদ, বুলু হাজী, সন্তোষ, বর্ষন গ্রামের , রইছ উদ্দিন, বেলাল হোসেন , জানায়, এ বছরে আলুর ফলন অত্যন্ত ভাল এসট্রেজ আলু প্রতিবিঘায় ১১০ থেকে ১২০মন যাহার বজার মুল্য ৯০ কেজিতে প্রতি বস্তা ৭০০ থেকে ৭৫০টাকা ।

কাডিনাল, প্রতিবিঘায় ১০০ থেকে ১১০মন যাহার বজার মুল্য ৯০ কেজিতে প্রতি বস্তা ৭২০ থেকে ৭৭০টাকা। তাছাড়া রুমানা ও পাকড়ি, আলু প্রায় একই দামে বিক্রয় হচ্ছে। আলু উঠার আগ পর্যন্ত কিছু সময় বাজারে আলুর দাম কম হলেও বর্তমানে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলে আলু চাষীরা তাদের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে লাভের অংশ গুনছে । যাদের ভাল ফলন হয়েছে ওই সব আলুচাষীদের প্রতিবিঘায় ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। আবার অনেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিল। তারা সেই ধার শোধ করার জন্য আলু ক্ষেত থেকে তোলার আগেই বিক্রয় করে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে কৃষক আঃ জলিল জানান, ধার করে টাকা নিয়ে আলু চাষ করছিলাম । কিন্তু এখন পাওনাদার টাকার চাপ দেওয়ায় আলু তোলার আগেই জমিতেই বিক্রি করলাম।

আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার কারন সর্ম্পকে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মশিদুল হক এই প্রতিনিধিকে জানান , কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শে, কৃষকরা সময় মত আলুতে কিটনাশক ও সার প্রয়োগ করেছে এবং সময়মত সেচ দিয়েছে যার কারনে এ বছরে আলুর বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে ।