টাঙ্গাইলে শহীদ মিনার নেই ২ হাজার ৬০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

তনয় কুমার বিশ্বাস
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ১৫২৮

বছর ঘুরে আবার বছর এসেছে, সেই সাথে এসেছে ভাষার মাস। ভাষার মাস একুশে ফেব্র“য়ারিতে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিবেদন করে এদেশের সর্বস্তরের মানুষসহ বিশ্ববাসী।

১৯৫২ সালে যারা বর্তমান বাংলাদেশে এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানে নিজের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এই দিন শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করা হয়।

কিন্তু দেশের অন্যান্য জেলার মত টাঙ্গাইল জেলারও সিংহ ভাগ প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার । ফলে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে অন্যত্রে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ মিনার বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় , মাধ্যমিক স্তওে টাঙ্গাইল জেলায় ৯৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৩৮১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৫৫৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১৬২৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১২৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ১৫০৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । মাধ্যমিক ও প্রাথমিক মিলিয়ে ২৫৬৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৫০৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ২০৬০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ।

সদর উপজেলায় ১০৪ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ১৭ টি এবং শহীদ মিনার নেই ৮৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । সদর উপজেলায় ৫৭ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৪৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ১৮ টি মাদ্রসার একটিতেও শহীদ মিনার নেই ।

৮ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও নেই । ১৮ টি কলেজের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ৩ টি কারগিরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ১ টি প্রতিষ্ঠানে।

সদর উপজেলায় শহীদ মিনার নেই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে : বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষ ই.বি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যারয়, জেলা সদও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়, শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রহিমা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, জোবায়দা উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ জাহাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়, দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, আদি-টাঙ্গাইল উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আবুল হোসেন আদর্ম উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষ ই.বি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, আবেদা খানম গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ, এইচ.এম ইনস্টিটিউট (স্কুল ও কলেজ), কুমুল­ী নামদার উচ্চ বিদ্যালয়, বি.এস. বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়, আজিম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, মাহমুদুল হাসান বিদ্যানিকেতন, রসুলপুর বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, বাঘিল কে.কে উচ্চ বিদ্যালয়, পোড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, বড় বাশালীয়া উচ্চ বিদ্যারয়, ছোট বাশালীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়, চৌধুররী মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়, আহসান উল­াহ উচ্চ বিদ্যালয়, মেজর মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়, আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়, হুগড়া কাবির কাদেও উচ্চ বিদ্যালয়, ধরেরবাড়ী মুসলিম হাই স্কুল এন্ড কলেজ, খাদিজা আবুবকর উচ্চ বিদ্যালয়, পাকুল্যা উচ্চ বিদ্যালয়, বিনাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়, বরুহা উচ্চ বিদ্যালয়, হোসনে আরা হাসান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাগবাড়ী চৌবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, মেজর মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়, রাশেদ হাসান উচ্চ বিদ্যালয়, মিন্টু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, খাস কাকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ্রিয়ার হাসান মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল উচ্চ বিদ্যালয়, সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল, শাহীন স্কুল, শহীদ একাডেমিক স্কুল, আলোয়া বরটিয়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিয়া পাড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আয়নাপুর এ.এম জুনিয়র মডেল স্কুল, টাঙ্গাইল পৌর আইডিয়াল স্কুল, করটিয়া লাইট হাউজ ল্যারেটরী স্কুল, টাঙ্গাইল দারুল উলুম কালিম মাদ্রাসা, রোকেয়া (ডিগ্রী) ফাজিল মাদ্রাসা, কোরেশ নগর ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা, খারজানা হোসাইনিয়া সিদ্দিকীয়া আলিমস মাদ্রাসা, ফয়েজ-এ- রাব্বানিয়া আলিম মাদ্রাসা, কাজীপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, ধুলটিয়া রহমানীয়া দাখিল মাদ্রাসা, হাতিলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, লাউজানা ইলিম উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, ভায়েটা আব্দুল কুদ্দুছ দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ গয়লা হোসেন দাখিল মাদ্রাসা, সুবর্ণতলী নয়াপাড়া এন্তাজিয়া সুন্নতিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মোহালী গয়রা উচ্চ বিদ্যালয়, চরপৌলি গোরস্থান সংলগ্ন দাখিল মাদরাসা, ফতেপুর আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রসা, হুগড়া বেগুনটাল দাখিল মাদ্রাসা, কুরতুবী ক্যাডেট দাখিল মাদ্রাসা ।

বসাইল উপজেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪২ টি । শহীদ মিনার আছে ১৫ টি । শহীদ মিনার নেই ২৭ টি প্রতিষ্ঠানে । ২৬ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১৪ টি এবং শহীদ মিনার নেই ১২ টি প্রতিষ্ঠানে । ১১ টি মাদরাসার একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ০২ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৩ টি কলেজের মধ্যে ১ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এবং শহীদ মিনার নেই ২ টি প্রতিষ্ঠানে ।

যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই : কে,বি,এন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কাইলজানী লুৎফা শান্তা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আইসড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বাঘিল ফুলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাথূলী সাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়, দেউল খন্দকার নুরে আলম বিদ্যালয়, ডুমনী বাড়ী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এইচ,টি,এ,বি উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্বপৌলি উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী মালিক মাজেদা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়, জশিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, কাঞ্চনপুর কে,জি, আর উচ্চ বিদ্যালয়, লৌহজং উচ্চ বিদ্যালয়, ময়থা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, সিংগাডাক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, পাটখাগুরি বিলকিস মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুন্না আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মার্থা লিন্ডষ্ট্রম নুরজাহান বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টি,জেএফ উচ্চ বিদ্যালয়, কাউলজানী নওশোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়, বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জায়েদা খানম নিন্ম উপজেলা উচ্চ বিদ্যালয়, বালিয়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নাইকানীবাড়ী আলহাজ্ব হায়দার হামিদ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, হাবলা টেংগুরিয়াপাড়া ফাজিল মাদ্রাসা, ফুলকী ঝনঝনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, কাঞ্চনপুর এলাহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, বালিনা খোরশেদ ফাজিলাতুর দাখিল মাদ্রাসা, হাবলা ছালাফিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, সুন্না সম্মলিত আলীম মাদ্রাসা, মাওলানা আলী খান দাখিল মাদ্রাসা, আ: খালেক আ: কাদেও দা:উ:দা: মাদ্রাসা, কাঞ্চনপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, যশিহাটি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মুজিব হাবিব বসিলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজ, শহীদ রওশন আলী খান মহাবিদ্যালয়, বাসাইল জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজ ।

কালিহাতী উপজেলায় মোট প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৭ টি । শহীদ মিনার আছে ৪৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ।শহীদ মিনার নেই ৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ৫৩ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ১৮ টি মাদ্রাসার মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৪ টি প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ১৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ৮ টি এবতেদায়ী প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৭ টি কলেজের সবগুলোতেই শহীদ মিনার রয়েছে । ২ টি কারিগারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২টি তেই শহীদ মিনার রয়েছে ।

যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই : শহীদ আবুল কালাম উচ্চ বিদ্যালয়, চরসিংগুলি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, করিমুননেছা সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়, আমজানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আনোয়ারা হাশেম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর বেতডোবা ফাতেমা হালিম উচ্চ বিদ্যালয়, মরিয়ম স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, ফেরদৌস আলম ফিরোজ উচ্চ বিদ্যালয়, বিলবর্নি উচ্চ বিদ্যালয়, দশশিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জিদহ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আনালিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, আউলিয়াবাদ তকেয়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কস্তরীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সোমজানী উচ্চ বিদ্যালয়, গোহালিয়াবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসা, সয়া ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা, কালিহাতী ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা, গরিলাবাড়ী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ছাতিহাটি গরম দাখিল মাদ্রাসা, জাবরাজান বিএইচ দাখিল মাদ্রাসা, চরসিংগুলি আনছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আলীপুর দারুচ্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসা, আওলাতৈল দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা, সহদেবপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, দেউপুর চকপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পারখী রাসুলপুর দাখিল মাদ্রাসা, বিয়ারা মারুয়া দাখিল মাদ্রাসা, মগড়া বহুমুখী কারিগরি দাখিল মাদ্রাসা ।

সখীপুর উপজেলায় ১০১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ২৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৭২ টি প্রতিষ্ঠানে । ৪৭ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ২৭ টি প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ২৭ টি মাদ্রাসা, ১৮ টি এবদেতায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭ টি কলেজ এবং ২ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই ।


যে সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই : সরকারি মুজিব কলেজ, সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজ, সখিপুর পিএম পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বড়চত্তনা কুতুবপুর কলেজ, হাতিয়া ডিগ্রী কলেজ, বোয়ালী ডিগ্রি কলেজ, পলাশতলী কলেজ, প্রতিমাবংকী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, নামদারপুর ফাজিল মাদ্রাসা, নলুয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, কালিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, কামালিয়াচালা আলিম মাদ্রাসা, মাওলানাপাড়া সালাফিয়া আলিম মাদ্রাসা, সখিপুর পাইলট উচ্চ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালমেঘা ইলিমজান উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুবরুও রত্তশন আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়ারছিট সোনারবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়, দাড়িপাকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতিমাবংকী একতা উচ্চ বিদ্যালয়, ছোট মৌশা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, হামিদপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, মোন্তাজনগর আবাসিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাহারতা উচ্চ বিদ্যালয়, জমশেরনগর ভিএস আই উচ্চ বিদ্যালয়, ঢনঢনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ আ: রকিব (বীরবিক্রম) উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়া আড়াইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢনঢনিয়া ছোটচত্তনা উচ্চ বিদ্যালয়, ঘেচুয়া বড়চালা নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সানস্টার ইনন্টিটিউট অব টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ, ভূয়াইদ ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ, কাহারতা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চতলবাইদ করটিয়া পাড়া দাখিল মাদ্রাসা, চাকদহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, কচুয়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সখিপুর থানা সদর দাখিল মাদ্রাসা, কালিয়ান দাখিল মাদ্রাসা, ইছাদিঘি দাখিল মাদ্রাসা, মধ্য ঘোনার চালা আজগরিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মুন্সিগঞ্জ মোকছেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, দেবরাজ ওসমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হাতেয়া ডি এস দাখিল মাদ্রাসা, তক্তার চালা দাখিল মাদ্রাসা, মাহমুদনগর দূর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসা, দিঘীরচালা জামালিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, জিতাশ্বেরী রশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ফুলবাগ আই জে দাখিল মাদ্রাসা, সবুজ বাংলা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, শোলা প্রতিমা দাখিল মাদ্রাসা, শাপলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, কালিদাস পশ্চিম পাড়া দাখিল মাদ্রাসা এবং বেড়বাড়ী দাখিল মাদ্রাসা ।

ঘাটাইল উপজেলায় ১১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৩৮ টি এবং শহীদ মিনার নেই ৭৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ৫৪ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৩৫ টি এবং শহীদ মিনার নেই ১৯ টি প্রতিষ্ঠানে । ৩২ টি মাদ্রাসার মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১ টি তে এবং শহীদ মিনার নেই ৩১ টি প্রতিষ্ঠানে । ২৩ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৫ টি কলেজের ২ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এবং ৩ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই ।

গোপালপুর উপজেলায় ৮৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৪৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৪১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ৪৬ টি স্কুলের মধ্যে ৩৯ টি স্কুলে শহীদ মিনার আছে এবং শহীদ মিনার নেই ৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ২৩ টি মাদ্রাসার মধ্যে ১ টি তে শহীদ মিনার আছে এবং ২২ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই । ৯ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৫ টি কলেজের মধ্যে ৩ টিতে শহীদ মিনার আছে এবং ২ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই । ১ টি কারিগারি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই ।

এধুপুর উপজেলায় ৭৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এবং ৪৫ টি প্রতিষ্ঠানে শঞীদ মিনার নেই । ৩১ টি স্কুলের মধ্যে ২৫ টি স্কুলে শঞীদ মিনার আছে এবং ৬ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই । ১৯ টি মাদ্রাসার মধ্যে ১ টিতে শঞীদ মিনার আছে এবং ১৯ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই । ২১ টি এবতেদায়ী প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৫ টি কলেজের সবগুলোতেও শহীদ মিনার আছে এবং ১ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতে শঞীদ মিনার আছে ।

ধনবাড়ী উপজেলার ৬৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এবং ৪০ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই । ৩৩ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ২৪ টি প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৯ টি প্রতিষ্ঠানে । ১৬ টি মাদ্রাসার মধ্যে ১ টি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যগুলোতে শহীদ মিনার নেই । ৭ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৮ টি কলেজের মধ্যে ১ টিতে শহীদ মিনার আছে এবং ৭ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই । ২ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই ।

মির্জাপুর উপজেলায় ৭৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৪৯ টি প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ২৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ৫৩ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৪৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৯ টি প্রতিষ্ঠানে । ১৪ টি মাদ্রাসা, ১ টি এবতেদায়ী ও ২ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৬ টি কলেজের মধ্যে ৫ টি তে শহীদ মিনার আছে এবং ১ টিতে শহীদ মিনার নেই ।

দেলদুয়ার উপজেলায় ৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ২৩ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১৯ টি প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৪ টি প্রতিষ্ঠানে । ৯ টি মাদ্রাসা এবং ১ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৫ টি কলেজের মধ্যে ৪ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এবং ১ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই ।

নাগরপুর উপজেলায় ৭৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৩৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৪০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ৪৩ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৩৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নইে ৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ১৩ টি মাদ্রাসা এবং ১৮ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৩ ািট কলেজের সবগুলোতেই শহীদ মিনার আছে 

ভূঞাপুর উপজেলায় ৭১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এবং শহীদ মিনার নেই ৪৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ২৮ টি স্কুলের মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১৯ টি প্রতিষ্ঠানে এবং শহীদ মিনার নেই ৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । ২২ টি মাদ্রাসা, ১৫ টি এবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও শহীদ মিনার নেই । ৬ টি কলেজের সবগুলোতেই শহীদ মিনার আছে ।

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম বলেন, “ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিকটে হওয়ায় আমরা দীর্ঘ সময় শহীন মিনার নির্মান করি নি । কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে আশা করছি আমাদের প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান করা হয়ে যাবে । এছাড়া আমি মনে করি প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা উচিত ।

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আল মামুন তালুকদার বলেন, “ আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান । তিন-চার দিন পূর্বে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে নিয়ে আমি শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি । আশা করছি প্রথমবারের মত আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা নিজের প্রতিষ্ঠানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবে । আমি মনে করি শহীদ মিনার হচ্ছে চেতনা ।

প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা উচিত ।”

জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, “ সরকারিভাবে শহীদ মিনার থাকার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই । তবে আমরা বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে মিটিং এ শহীদ মিনার করার ব্যাপারে বলে থাকি । এছাড়া কিছুদিন আগেও জেলা শিক্ষা অফিসের মাসিক সমন্বয় সভায় আমি শহীদ মিনার করার ব্যাপারে পরিপত্র প্রদান করেছি । ”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ বলেন, “ শহীন মিনার এর গুরুত্ব আমাদের সকলকে বুঝতে হবে । শুধু শিক্ষা প্রতিদষ্ঠানের প্রধানরাই নয় এলাবাসীসহ সকলে মিলে এ শহীদ মির্নাণ নির্মান করা উচিত । আশা করছি আগামী বছর টাঙ্গাইল জেলার বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে ।”

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আশরাফ উল মমিন খান খান বলেন, “ভাষার জন্য প্রাণ দিে ছে আমাদের বাংলার ছেলেরা । ভাষা দিবসের যে তাৎপর্য তুলে দেওয়ার জন্য ২১ ফেব্র“য়ারি পালন করা হয়ে থেকে । প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ মিনার থাকতে হবে এ রকম নির্দেশনা আমার চোখে পড়ে নি । কিন্তু প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ থাকা উচিত । সরকারিভাবে আমরা যদি অফিসায়ালি লেখালেখি করতে পারি তাহলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে শহীদ নির্মানের ব্যাপাওে নির্দেশনা আসতে পারে এবং সরকারিভাবে একটি বাজেটও বরাদ্দ হতে পারে ।”

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেন, “পৃথিবীর মধ্যে আমারা সেই জাতি যারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছি । শহীদ মিনার হচ্ছে চেতনা । এই চেতনা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে সাহায্য করবে । শুধু প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেই হবে না । এই দিবসে প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করা উচিত । প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি । আমাদের বাংলা ভাষা আন্তজার্তিকত ভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে । আশা করছি আগামী দিনে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে আরো অনেক কিছু অর্জন করতে পারবো । ”