নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো খালেদা জিয়াকে


দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লায় নাশকতার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ২০১৫ সালে বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলি ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুনে পুড়িয়ে ৮ জনকে হত্যার ঘটনায় একটি নাশকতার মামলা হয়। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ৬ শীর্ষস্থানীয় নেতাকেও হুকুমের আসামি করা হয়। এছাড়া কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এমপি জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়াও ৫৬ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
পরবর্তী সময়ে আদালত তিন মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর মধ্যে গত বছরের নভেম্বরে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ কুমিল্লার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে পাঠান।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ১৫ আগস্ট ‘ভুয়া জন্মদিন’ পালন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতির কারণে কারাবরণ করতে হলো। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতি মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়।