কুরবানির নিসাব

মুফতি মাহফুজুর রহমান হোসাইনী
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, সোমবার, ২১ আগস্ট ২০১৭ | ১৫৮৭

 

কুরবানির নিসাব হল সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হল সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া।

আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।


টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত ঘর-বাড়ি, ভাড়ার বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

উলে­খ, বসবাস বা খোরাকীর অতিরিক্ত জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত ঘর-বাড়ি, ভাড়ার বাড়ি, প্রয়োজন অতিরিক্ত আসবাবপত্র ইত্যাদি যাকাতের নিসাবের অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু কুরবানির নিসাবের অন্তর্ভুক্ত।


যাকতের নেসাব বছর পূর্ণ হওয়া জরুরী। কোরবানির নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়। বরং কুরবানির তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই হবে। প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।