নিকরাইল ইউপি নির্বাচন
নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ পদ হারালেন ৩ নেতা


চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বর্তমান চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকারের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী) আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বহিস্কৃত নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা কাজে অংশ নেওয়ায় নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ ৩ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
বহিষ্কৃত ৩ ছাত্রলীগের নেতা হলেন- নিকরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. রনি মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মো. রেজাউল করিম রেজা ও মো. আল-আমিন মন্ডল। গত সোমবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহাম্মেদ আমানউল্লাহ’র স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কারাদেশ বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ এর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে অংশ গ্রহণ করায় বহিষ্কার করা হলো। সেইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পরিচয়সহ দলের সকল পরিচয় প্রদান থেকে বিরত থাকারও বহিষ্কারকৃতদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, বহিষ্কারকৃত নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদ (আনারস) প্রতীক নিয়ে (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ বিদ্রোহী প্রার্থী পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক। এদিকে, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই দফায় দফায় আওয়ামী মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কর্মী ও বহিস্কৃত প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।