জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা আবার ছাড়পত্র দিল যুক্তরাষ্ট্র


জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা চালুর ছাড়পত্র দিল আমেরিকা। আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) এবং ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ (সিডিসি) এর পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়েছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়ার পর কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার অভিযোগে গত ১৪ এপ্রিল জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাদান স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা দিয়েছিল এফডিএ ও সিডিসি। এরপর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। শুক্রবার সিডিসি-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এফডিএ-র প্রধান জেনেট উডকক বলেন, 'বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই ফের জনসনের টিকা প্রদান চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
ফাইজার এবং মডার্নার পরে আমেরিকায় তৃতীয় করোনা প্রতিষেধক হিসেবে ফেব্রুয়ারির শেষে ছাড়পত্র পেয়েছিল জনসনের টিকা। জনসনের টিকা মাত্র এক ডোজ দিতে হয়। অন্য টিকার তুলনায় তা সংরক্ষণ করাও সহজ। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই জনসনের প্রায় ৬৮ লক্ষ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ায় কয়েকজন নারীর শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা সামনে আসে। একই সঙ্গে তাঁদের শরীরে প্লাটিলেট কমে গেছে বলেও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয় এফডিএ ও সিডিসি। যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে জনসনের টিকা। পাশাপাশি, যাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা কার্যকর হবে, তা-ও পরীক্ষা করে দেখার কথা জানান দুই সংস্থার কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সিডিসি-র প্রধান রোশেল ওয়ালেনেস্কি জানিয়েছেন, তাঁরা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন প্রায় ৩৯ লক্ষ নারীকে জনসনের টিকা দেয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দিয়েছে। মারা গেছেন তিনজন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ৫০ বছরের কম। সম্প্রতি ইউরোপে জনসনের টিকা পরীক্ষার পরে বলা হয়েছে, এমন ধরনের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ‘অতি বিরল’। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রোশেল বলেন, 'আমাদের বিশেষজ্ঞেরা ছাড়পত্র দেওয়ায় জনসনের টিকাকরণ ফের শুরু হচ্ছে। তবে গোটা প্রক্রিয়ায় উপর পর্যবেক্ষণ থাকবে।'