বঙ্গবন্ধুর মত নেতা হতে হলে অবশ্যই ধৈর্য্যশীল হতে হবে -ফজলুর রহমান খান ফারুক


টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মত নেতা হতে হলে অবশ্যই ধৈর্য্যশীল, বিদ্যান, জ্ঞানী, সকলগুনে গুনানীত হতে হবে।
আপনারা যারা আছেন তারা রাজনৈতিক নেতা হন। একজন রাজনীতিবিদ চেয়ারম্যান, মেয়র, এমপি ও মন্ত্রী হতে পারেন কিন্তু একজন রাজনীতিবিদ নেতা হতে পারবেন না। নেতা হতে হলে অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার মত ক্ষমতা থাকতে হবে। জ্ঞানের ভান্ডার হতে হবে, মহাত্মা হতে হবে তাহলেই নেতা হওয়া যাবে।
আপনারা সবাই বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করেন। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু অনেক বড় মাপের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মত বিশ্বে আর এমন নেতা নেই। তিনি বলেন, আজ স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ পশ্চিম পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাসের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এই বাংলাদেশে আসার পর লাখো জনতা তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।যা পৃথিবীর আর কোন নেতার জন্য হয়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি মনোয়ারা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আনছারী, নাহার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুক, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট খোরশেদ আলম।
এরআগে সকালে স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ করেন আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মনোয়ারা বেগম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান আনছারী, নাহার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেবুন্নেছা চায়না, শহর আওয়ামী লীগে সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাহমুদুল হাসান মারুফ।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।