শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | ৪১৯

প্রায় ২০ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রয়েছে। আর ১৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে দুজনের সাজা বহাল এবং একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলায় এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ওয়াসিম আকতার, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।

এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদ। আর বিচারিক আদালতে ১৪ বছর করে সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে সরোয়ার হোসেন মিয়ার মামলায় সম্পৃক্ততা না থাকায় খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্য দুজনের ১৪ বছরের সাজার বহাল রাখা হয়েছে। 

আরেক আসামি জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে মামলা দু’টি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ডও দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম। রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর এ ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ১ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।