পৃথিবীতে এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন শেখ হাসিনা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ | ৪৬০

পৃথিবীতে এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একযোগে প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি করে দিয়ে তাদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন বেঁচে থাকার অবলম্বন। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে মানবতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রায় নয় লাখ মানুষকে জমিসহ পাকা ঘর করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। আজ শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন।

তিনি বলেন, একটি ঘর শুধু একটি আশ্রয়স্থল নয়, যার কিছুই ছিল না এই ঘরটি তার জন্য আত্মমর্যাদার। এই ঘরের মালিকরা সপরিবারে বিভিন্ন সেবা পাবে; শিক্ষা-স্বাস্থ্য, সুপেয় পানিসহ সকল নাগরিক সুবিধা দেয়া হবে। প্রশিক্ষণের আওতায় এনে স্বনির্ভর করা হবে। এতে দারিদ্র্যতা বিমোচন হবে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। উদ্দেশ্য ছিল— ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ঋণপ্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা। এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিন লাখ ২০ হাজার ৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় নয় লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মাসে আরও এক লাখ পরিবার বাড়ি পাবে অসহায় এসব মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আমি জনগণের জন্য বিনিয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অসুস্থতা, লিঙ্গ বৈষম্য, অবিচার আর অজ্ঞতার শেকল থেকে তাদের মুক্ত করতে চাই।

এর আগে শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজারে 'খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প' করেন। সেটিও বিশ্বের সর্ববৃহৎ একক জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প। এতে পাঁচতলা বিশিষ্ট ২০টি ভবনে ৬০০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে ফ্ল্যাট দেয়া হয়।

এছাড়াও ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে থাকার জায়গা দিয়ে বিশ্বে 'মাদার অব হিউম্যানিটি' উপাধিতে ভূষিত হন শেখ হাসিনা। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন তার (শেখ হাসিনা) যুগান্তকারী পদক্ষেপ।