আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ


টাঙ্গাইলের মির্জাপুর আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নে গোড়াই-সখিপুর সড়কের খলিঃলুর রহমান কলেজের সামনে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার জমি ১৯২০ সালে সেটেলমেন্ট রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পর তৎকালীন সরকার ১৯২৭-২৮ সালে গেজেট মূলে মির্জাপুরসহ আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলের জায়গা বন বিভাগের কাছে ন্যস্ত করে। তৎকালীন এরশাদ সরকার ১৯৮২ সালে আটিয়া অধ্যাদেশ জারি করে। বসতবাড়িসহ সাধারণ মানুষের ১৯৬২ সালের রেকর্ডভুক্ত জমিও এই অধ্যাদেশের আওতায় আনা হয়। এই অধ্যাদেশের আওতায় বর্তমানে প্রায় ৪৫ হাজার একর জমি রয়েছে।
বেলা এগারটার দিকে পাহাড়ী অঞ্চল বাঁশতেল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল, বালিয়াজান, মোতারচালা, আজগানা ইউনিয়নের তেলিনা, চিতেশ্বরী, বেলতৈলসহ কয়েকটি গ্রামের দুই সহ¯্রাধীক নারী-পুরুষ গোড়াই- সখিপুর সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচী শুরু করেন। এগারটা থেকে বারটা পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচী। ঘন্টা ব্যাপি চলা এই কর্মসূচীর কারনে গোড়াই- সখিপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু ও শামসুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আদিবাসী নেতা সুনীল সারথি বর্মণ, বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম, শমসের আলী মাষ্টার প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেওয়া গায়রাবেতিল গ্রামের বাসিন্দা সাহেরা বেগম, একই গ্রামের মঞ্জুয়ারা বেগম, বালিয়াজান গ্রামের আব্দুস সাত্তার, একই গ্রামের আব্দুর রহমান জানান আটিয়া অধ্যাদেশের কথা বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের বাড়ি ঘড় ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।তারা এই কালো আইন বাতিলের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
টাঙ্গাইল জেলা বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আটিয়া বন অধ্যাদেশ আওতার বাইরে কোন ঘর বাড়ি উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়নি। তবে এই অধ্যাদেশের আওতাভ’ক্ত সব জমিই বন বিভাগের বলে তিনি জানান।