বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতায় রাষ্ট্রদ্রোহের ২ মামলা, তদন্তে পিবিআই

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ৫০৮

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে দেয়া বক্তব্যের জেরে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ দুটি মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। মামলা দুটি  পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুই মামলার বাদীর জবানবন্দি শুনে ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার অভিযোগ তদন্ত করে ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দণ্ডবিধির ১২০ (খ) (১)/১২৪ (ক)/ ৫০৫ (ক) ধারায় করা এ মামলায় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিমকে আসামি করা হয়।

অপর মামলাটি করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। দণ্ডবিধির ১২০ (খ)/১৫৩/১২৪ (ক)/ ধারার এ মামলায় আসামি করা হয়েছে মামুনুল হককে।

বুলবুলের মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা ও সুযোগ-সুবিধা লাভের হীন উদ্দেশ্যে বিদেশী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মুসলমানদের উসকানি দিয়ে, ক্ষেপিয়ে তুলে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা এবং শত্রুর ভাব সৃষ্টি করেছে। ফলে আসামিদের নির্দেশে মধুদার ভাস্কর্য ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মিত ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে। এ প্রচারণা ও উসকানি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।’

অপরদিকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক একই আদালতে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, ‘আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনের এক আলোচনাসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘লাশের পর লাশ পড়বে, তবুও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না। আর এই বক্তব্যের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবমূর্তি ও সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআই’র ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।