বিদ্যুতের খুটির কারণে চাষাবাদে সংশয় ও এলাকায় ঝুঁকি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০ | ৮৯৯

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঠিকাদারের দায়সারা কাজ আর পল্লীবিদ্যুতের উদাসীনতায় অন্তত ৩০ বিঘা জমির চাষাবাদ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এছাড়া হেলে পড়া খুটির কারণে পৌর এলাকাসহ অনেক এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যার পানির প্রবল স্্রোত পল্লীবিদ্যুতের নবনির্মিত লাইনের ১৫/২০ টি খুটি আবাদি জমিতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা এবং হেলে পড়া খুটির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

মির্জাপুর পল্লীবিদ্যুত কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে ঢাকার ধামরাই থেকে মির্জাপুরে বিদ্যুত সরবরাহের জন্য ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালণ লাইনের কাজ শুরু হয়। এজন্য মির্জাপুর-উয়ার্শী-বালিয়া সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে খুঠি স্থাপন ও তার টাঙানোর কাজ করে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এবছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে গত আগষ্ট মাসের শুরুতে উপজেলর উয়ার্শী ইউনিয়নের উত্তর রোয়াইল এলাকায় প্রথমে বিদ্যুতের একটি খুঠি উয়ার্শী-বালিয়া সড়কে পড়ে যায়। চলাচলে বিঘœ ঘটায় স্থানীয় লোকজন খুটিটি রাস্তার পাশে সরিয়ে রাখে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্তত ১৫/২০ টি খুটি রাস্তার পাশে আবাদি জমির ওপর পড়ে যায় এবং মির্জাপুর পৌর এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় অনেকগুলি খুটি হেলে পড়ে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, খুটিগুলি স্থাপনের সময় অনেক খুটি হেলে পড়ে। এতে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

বন্যার পানি নেমে গেছে। এখন কৃষক বীজতলা তৈরিসহ রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের কাজ করছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বুরো আবাদ শুরু হবে। কিন্তু জমিতে বিদ্যুতের খুটিগুলি পড়ে থাকায় কুষকরা তাদের জমি চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করতে পারছেননা। খুটিগুলি তারাতারি সরিয়ে নেওয়া না হলে ওই এলাকার অন্তত ৩০ বিঘা জমিরতে বুরো আবাদ নিয়ে সংশয় দেখা দিবে বলে জমির মালিকরা জানিয়েছেন।

সোমবার উত্তর রোয়াইল গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার পূর্ব পাশে খুটিগুলি পড়ে আছে। জমির পানি নেমে গেছে। এই মৌসুমে কৃষক তাদের জমিতে সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করবেন। তাছাড়া সামনে বুরো মৌসুম। এজন্য কৃষক তাদের জমি চাষাবাদে জন্য প্রস্তুত করতে পারছেননা।

উত্তর রোয়াইল গ্রামের পতিত সূত্রধর বলেন, আমাগো খ্যাতের ওপর কারেনের খাম্বি ম্যালাদিন পইড়া রইছে। এহন কিছু বুনা পারতাছিনা।

একই গ্রামের খোরশেদ মিয়া বলেন, ৩/৪ মাস আগে থিকা আমার জমির ওপর খুটি পইরা আছে। এখন জমি চাষের করুম। খুটি গুলা সরানোর কাজ হইতাছেনা।

ওই গ্রামের মিনুর হোসেন,আলাল দেওয়ান, শিপন দেওয়ান, সুলতানসহ আরো অনেকেই একই সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

টাঙ্গাইল পল্লীবিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহীনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বন্যার পানি সরে যাওয়ার সাথে সাথে খুটিগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ঠি ঠিকাদারকে চাপ দেওয়া হয়েছ। দ্রুতসময়ের মধ্যে খুটিগুলি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।