মির্জাপুরে কমেছে করোনা সংক্রমণ, সাতদিনে শনাক্ত ৩


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কমেছে করোনা সংক্রমণের মাত্রা। জুনের প্রথম ১৫ দিনে এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়ালেও গত ৭ দিনে সংক্রমিত হয়েছে মাত্র ৩জন। এরমধ্যে টানা চারদিন কেউ শনাক্ত হয়নি এবং পরেরর তিনদিনে ৩জন।এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সেনা-পুলিশ টাহল, কাঁচাবাজার স্থানান্তর, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান। এছাড়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে টানা ১৭ দিন লকডাউন ঘোষণাসহ স্থানীয় প্রশাসন করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংক্রমের হার কমে এসেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল মির্জাপুর উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে লাগামহীনভাবে তা বারতে থাকে। জুনের প্রথম ১৫ দিনে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয় একশরও বেশি মানুষ। ওইসময় টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে মির্জাপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
এদিকে গত এক সপ্তাহে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১ জন। এরমধ্যে মির্জাপুর উপজেলায় মাত্র ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্দ্যাগ গ্রহন করেন। সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সেনা পুলিশ টাহল, কাঁচাবাজার স্থানান্তর, ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মিত অভিযান। এতেও নিয়ন্ত্রনে না আসায় ১৬ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত টানা ১৭ দিন পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে লকডাউন করা হয়।
লকডাউন শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর জুলাইয়ের ২০ তারিখের পর করোনা সংক্রমণের মাত্রা আস্তে আস্তে কমে আসে। গত এক সপ্তাহের হিসেবে দেখা গেছে ৭ আগষ্ট ১ জন এবং ৮ আগষ্ট ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। তবে ৩ আগষ্ট থেকে ৬ আগষ্ট টানা চারদিন কেউ আক্রান্ত হয়নি।
মির্জাপুরে এপর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৩৭৬ জন। ্রমধ্যে মারা গেছে ৬ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৩৪১ জন এবং বাকি ২৯ জন নিজ বাড়ি এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেন, টানা ১৭ দিনের লকডাউন, বন্যার কারনে মানুষের অবাদ চলাচল কমে যাওয়া এবং মানুষের সচেতনতার বৃদ্ধিই মির্জাপুরে করোন সংক্রমণের মাত্রা কমে এসেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, সংক্রমন ঠেকাতে লকডাউন বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং গোড়াই শিল্পাঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি অনুস্মরণে কঠোর প্রদক্ষেপ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে কাজে এসেছে। তবে চুড়ান্ত সফরতার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ধারাবাহিকতা রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।