একদিনে ২৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত আরো ১৭৬৪ জন

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, শনিবার, ৩০ মে ২০২০ | ৪৭৭

কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ঈদুল ফিতরের আগের দিন দেশে সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজও সেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে এ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৬১০ জনে।

গতকাল শুক্রবার থাকায় কমেছে নমুনা পরীক্ষা, সেই সঙ্গে কমেছে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৭৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬০৮ জন।

আজ শনিবার (৩০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। আজ দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ১২ সপ্তাহ পার হলো বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ৫০টি ল্যাবে পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১ হাজার ৪৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৯৮৭টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষা দাঁড়াল ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪টিতে। ঢাকায় নতুন একটি বেসরকারি ল্যাব যুক্ত হয়েছে। ল্যাবটি হলো ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।

তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৩৬০ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৩৭৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ২৮ জনের মধ্যে ২৫ পুরুষ এবং তিনজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের তিনজন এবং আশি ঊর্ধ্ব দুজন রয়েছেন।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১৮ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের সাতজন, রংপুরে দুজন এবং সিলেটে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, আর বাড়িতে মারা গেছেন দুজন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৫৯ লাখের বেশি। আর মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত। সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করার পর আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।