ঘাটাইলে ২০ কিলোওয়াট সোলার ইউনিটের উদ্বোধন


টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে ২০ কিলোওয়াটের সোলার এসি সিস্টেম ইউনিট। গতকাল (৮ মার্চ) রবিবার সোলার ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান।
এক সময় বিদ্যুত না থাকলে এবং লাইনে কারিগরি ত্রুটি থাকলে বিদ্যুত বিহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকত হাসপাতালটি। কিন্তুু সৌরবিদ্যুত সেই কষ্ট দুর করে দিয়েছে। বিদ্যুত না থাকলেও সোলারের আলোয় আলোকিত থাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে হাসপাতালের রোগিদের আর বিদ্যুতের কষ্ট পোহাতে হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান, উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা সুলতানা শিল্পী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড্ঃ সাইফুর রহমান খান, প্রমূখ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, ত্রিশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ কিলোওয়াটের সোলার সিস্টেম ইউনিটটি স্থাপন করা হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সোলার এসি সিস্টেম ইউনিটটি স্থাপিত হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইটকলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিমসো ফাউন্ডেশন। যেখানে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে ৬৪টি এবং ব্যাটারি স্থাপন করা হয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৫৯টি ফ্যান, ৭১টি লাইট ওটি রুম, ল্যাবরুম ও কম্পিউটার রুম সহ হাসপাতালের সকল কার্যক্রম সোলার ইউনিটের বিদ্যুত থেকে পরিচালনা করতে পারবে।
তিনি আরও জানান, এটি একটি নতুন ধারনা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল মহোদয়ের প্রশিক্ষন প্রোগ্রামে তার উপস্থাপনা থেকে পেয়ে উৎসাহিত হয়ে আমি প্রকল্পটি হাতে নেই। বিষয়টি ইতিমধ্যে এলাকায় সাড়া ফেলেছে।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, আগে বিদুৎ না থাকলে রোগের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হত, এখন সে কষ্ট দুর হয়েছে।
ভর্তি হওয়া রোগিদের কয়েকজন জানান, সোলার সিস্টেম আছে কিনা জানি না তবে হাসপাতালে সারাক্ষন বিদুৎ থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ সাইফুর রহমান খান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোলার এসি সিস্টেম ইউনিট স্থাপনের ফলে হাসপাতালের সকল কাজ দুশ্চিন্তা মুক্তভাবে করা যাচ্ছে। বিশেষ করে হাসাপাতালের অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যুতের টেনশনে থাকতে হয় না। নির্বিঘ্নে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। বিদুৎ না থাকলে জেনারেটর চালাতে হয় না যার কারনে জ্বালানি খরচ হয় না এবং বিদুৎ খরচ কম হয়।
সোলার প্যানেল স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠান রিমসো ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, পুরো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সোলার সিস্টেমের আওতায় আনার ফলে হাসপাতালের রেগিরা অপারেশন কার্যক্রমসহ বিদুৎ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাসেবা সহজে নিতে পারবে। ফলে জ্বালানী ও বিদুৎত দুটিই সাশ্রয় হচ্ছে।