রংপুরে আকবরকে গণসংবর্ধনা


ইতিহাসে মহান শাসকদের অন্যতম মুঘল সাম্রাজের অধিপতি সম্রাট আকবর। নিজের শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্রাট আকবর ইতিহাসকে যতটা প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন, ততটা কম ভারতীয় শাসকই করতে পেরেছেন। দেশকে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসানো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলি তার মাতৃভূমি রংপুরে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐতিহাসিক পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সংবর্ধনা মঞ্চে এসে পৌঁছান তিনি। এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দর এসে পৌঁছালে রংপুর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
পরে শতাধিক মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ির একটি শোভাযাত্রা প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়ক পথ অতিক্রম করে সংবর্ধনা মঞ্চে নিয়ে আসেন তাদের প্রিয় আকবরকে।
তার আগমন ঘিরে সকাল থেকে উৎসবের আমেজ শুরু হয় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠসহ তার বাড়ি জুম্মাপাড়ায়। চিরচেনা আকবরকে নতুন রূপে দেখতে ভিড় জমান ছোট বড় সবাই।
টাউন হল চত্বরের মূল ফটকের সামনে মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত ব্যান্ড দলের বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে গান গেয়ে, ভক্তদের ছিটানো ফুলের পাপড়িসিক্ত ভালোসা নিয়ে মঞ্চে উঠেন ক্রিকেট-সাম্রাজ্যের নয়া অধিপতি আকবর।
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে নেয় বাংলাদেশ দল। এই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
বোনের মৃত্যুর ১৯ দিনের মাথায় শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশকে বিশ্বকাপ শিরোপার আনন্দে ভাসিয়েছেন এই আকবর। বাড়ি রংপুর শহরের পশ্চিম জুম্মাপাড়া মহল্লায়।
শৈশব-কৈশোরের স্বর্ণালি দিনগুলো কেটেছে এখানেই। বাড়ির পাশে বেগম রোকেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে নগরীর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন আকবর। এখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০১২ সালে বিকেএসপিতে সুযোগ পান। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়ার গল্প।