ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব : প্রধানমন্ত্রী


ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ খাতে রপ্তানি বাড়াতে ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে পোশাক শিল্পের পরই প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩য় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। দেশবাসীকে, কোনো ঘটনা নিশ্চিত না হয়ে ইন্টারনেটে প্রতিক্রিয়া না জানানোরও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
২০০৮ এর ১২ ডিসেম্বর। নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে এক অন্যরকম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায় আওয়ামী লীগ। সেই থেকে শুরু। এরপর টানা ক্ষমতায় থাকার এক দশকে প্রযুক্তিখাতে শুধু শহরকেন্দ্রিক অগ্রগতিই হয়নি, ইন্টারনেট পৌঁছেছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে। সরকারি দপ্তরের ৬শ' রকমের সেবা অনলাইনে পাচ্ছে তৃণমূলের মানুষ।
দিন বদলের সনদ ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণার দিনটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস খেতাব দিয়ে সরকারের এ বর্ণাঢ্য আয়োজন। বুধবার প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে অবদানের স্বীকৃতিসরূপ সরকারি বেসরকারি ১৫ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরকে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। প্রযুক্তির বিকাশে শুধু সেবাই হচ্ছ না, কর্মসংস্থানও বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত শিল্পবিপ্লবের আওয়াজ আমরা আন্তর্জাতিকভাবে শুনতে পাচ্ছি, তার প্রস্তুতিও আমরা গ্রহণ করছি, আমাদের দেশের মানুষ যেন পিছিয়ে না থাকে। সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত হচ্ছে পোশাক শিল্প। রপ্তানিখাতকে আমরা ধীরে ধীরে বহুমুখী করতে চাচ্ছি। সেক্ষেত্রে আইটি খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি। এ খাতে আমরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারব।
প্রযুক্তি ব্যবহারে দেশবাসীকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, গুজবে যেন কেউ কান দেবেন না। সঠিক তথ্য যাচাই করে নেয়া দরকার। যেকোনো পোস্ট শেয়ার করতে গেলে আগে সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা।
অনুষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে সচেতনতামূলক নাটক পরিবেশন করে শিশু শিল্পীরা। দর্শক সারিতে বসে তা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।