মির্জাপুরে একশ গজ রাস্তার বেহাল দশায় চরম জনদুর্ভোগ


মাত্র একশ গজ রাস্তার বেহাল দশার কারনে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভর সৃষ্টি হচ্ছে। মির্জাপুর পৌর এলাকার বাইপাস বাস স্টেশন সংলগ্ন বংশাই রোডে এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
মির্জাপুর পৌর এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা হচ্ছে বংশাই রোড। এই রোড দিয়ে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তরফপুর ইউনিয়ন, লতিফপুর ইউনিয়নের আংশিক এবং পৌর এলাকার আংশিক মিলিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষাথীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। বংশাই নদীর উপর সেতু নির্মিত হওয়ার পর এই সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচলের পাশাপাশি যানবাহন চলাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মির্জাপুর বাইপাস বাস স্টেশন ও রেল ক্রসিং এর মধ্যবর্তি মাত্র একশ গজ রাস্তা জনযানের অবাধ চলাচল ম্লান করে দিয়েছে।
ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক নির্মাণ এবং পরবর্তীতে তা চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর ওই রাস্তা টুকু নীচু হয়ে যায়। রাস্তা পাকা করন হলেও মাটি ভর্তি ভারী যানবাহন চলার কারনে তা অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে প্রায় পূর্বের অবস্থায় চলে আসে। শুরু হয় মানুষের দুর্ভোগ। গত প্রায় তিন বছর যাবত এই দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে চলতে পারলেও বৃষ্টির দিনে ওই রাস্তা টুকু চরম জনদুর্ভোগে পরিনত হয়। রাস্তা টুকু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ওই সড়কের ব্যবসায়ীরা কিছুদিন পূর্বে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে কিছুটা সংস্কার করলেও গত দুই দিনের বৃষ্টিতে তা আবার ম্লান হয়ে গেছে।
ফেরেঙ্গি পাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন আমরা উত্তরাঞ্চলের মানুষ অবহেরিতই রয়ে গেলাম। অল্প একটু রাস্তা সংস্কারে কারো কোন নজর নেই।
পাথরঘাটা গ্রামের ভাড়্য়া চালিত মোটরসাইকেল চালক আলম বলেন রাস্তার পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে এত দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
বংশাই ডিজিটাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ বলেন পৌর এলাকার মধ্যে রাস্তার এ অবস্থা আমাদের কাম্য নয। মানুষের দুর্ভোগ এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী।
মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন বলেন ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্প জমা দেয়া আছে। অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।