তীব্র শীতে যমুনা চরাঞ্চরের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৪৯০

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা চরাঞ্চলে বেড়ে চলছে শীতের প্রকোপ। দিনের বেশির ভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। সন্ধ্যা হতেই কুয়াশার চাদরে ছেয়ে যায় গোটা চরাঞ্চল। ঘন কুয়াশার কারণে নদী পথে চলাচল করতে পারছেনা নৌকা। ফলে চরাঞ্চলের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

যমুনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এখানে ঘন কুয়াশা ও শৈত প্রবাহ অনেক বেশি। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের প্রকোপ বেশি থাকায় এখানকার মানুষের জীবন জীবিকায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। তীব্র শীতের কারণে কাজের সন্ধানে যেতে পাড়ছেনা খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ।

অপরদিকে শীত বস্ত্রের অভাবে তাদের জীবন এখন জবুথবু অবস্থায়। শীতের তীব্রতায় খড়-কুটা জ¦ালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারা কোন প্রকার শীত বস্ত্র ও সহায়তা পায়নি। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা শীত বস্ত্রের অভাবে স্কুলে যেতে পারছেনা। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পরেছেন গরীব ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতার্ত মানুষের জন্য শীত বস্ত্র বিতরণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধি, প্রশাসনের ও সরকারের কাছে শীত নিবারণের জন্য শীত বস্ত্র এবং সহযোগীতার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে উপজেলার গাবসারা চরাঞ্চলের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে আমরা খুবি সামান্য পরিমান শীত বস্ত্র পেয়েছি। সেগুলো আমরা ইউপি সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছি, যাতে তারা সেগুলো তাদের নিজ নিজ এলাকার গরীব ও ছিন্নমূল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরিন পারভীন বলেন, আমরা উজেলার প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে শীত বস্ত্র সমান ভাবে বন্টন দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা তাদের নিজ নিজ এলাকার শীতার্তদের মাঝে সেগুলো বিতরণ করতে পারে। তবে প্রয়োজন হলে আরো শীথ বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হবে।