ব্রিটেনের নির্বাচনে জিতলেন বরিস, পদ ছাড়ছেন করবিন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৬১৩

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।

৬৫০ আসনের হাউজ অব কমন্সে এখন পর্যন্ত পাওয়া ৬৪৬টি আসনের ফলাফলের মধ্যে ক্ষমতাসীনরা পেয়েছে ৩৬২টি আসন, যা ২০১৭ সালের নির্বাচনের চেয়ে ৪৭টি আসন বেশি। 

অন্যদিকে, গেল বারের চেয়ে ৫৯টি আসন কম পেয়ে ২০৩টি আসনে জয়লাভ করে নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে প্রধানবিরোধী দল লেবার পার্টির। ফলাফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই জয়ের মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথ আরও সুগম হবে। 

পরাজয় মেনে নিয়ে দলীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন।

নির্বাচনী জরিপের ফলাফলই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে অনুষ্ঠিত ব্রিটেনের আগাম সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আরও একবার সরকার গঠনের পথে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। আর ভরাডুবি হয়েছে প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টির।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় গণনা। সরেজমিনে তা দেখতে ভোট গণনা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন। গনণা শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যায় কনজারভেটিভদের বিজয় আর লেবারদের পরাজয়। বিজয়োল্লাস শুরু করে দেন কনজারভেটিভ সমর্থকরাও। 

পরে, আনুষ্ঠানিক এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জনসন বলেন, বিপুল ব্যবধানে এই জয়ের মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথ আরও সুগম হবে।

বরিস বলেন, জনগণ আমাদেরকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে আবারও গুরু দায়িত্ব দিয়েছে। শুধু ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নয়, দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাও দূর হয়ে গেলো। আশা করছি ৩১শে জানুয়ারির মধ্যেই আমরা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে সক্ষম হবো।

অন্যদিকে, পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় চরম হতাশা ব্যক্ত করেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। একইসঙ্গে, দলীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।

করবিন বলেন, নির্বাচনের ফলাফল লেবার পার্টির জন্য সত্যিই হতাশার। তবে, নির্বাচনী ইশতেহারে জনগণকে আমরা যে আশার আলো দেখিয়েছি, আশা করবো একদিন তার বাস্তবায়ন হবে। সব ভুলের একদিন সমাধান হবে। দলের নেতৃত্বে কে আসবেন তা ভবিষ্যতই নির্ধারণ করে দেবে।

প্রধান দুই দল ছাড়াও নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ফলাফল করেছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি- এসএনপি। ফলাফল প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে, স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যত দেশটির জনগণের হাতে ছেড়ে দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান দলটির নেতা নিকোলা স্টারজন।