পর্যটকদের সেবা দিয়েই থাইল্যান্ডে ভাগ্য বদলেছে আলমের

অালোকিত প্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭ | ৬৯৭
পাতায়া (থাইল্যান্ড) থেকে: নানা দেশের নানা ধরনের পর্যটক নিয়ে তার কারবার। তবে বাংলাদেশি পর্যটক হলে ভিন্নকথা।
দেশের মানুষ মানেই তার কাছে প্রিয় স্বজন। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন- ‘এ বি এম গ্রুপ’র প্রতিষ্ঠাতা এবি এম খোরশেদ আলম (৩৪)।

সেই প্রতিষ্ঠানের অধীনেই ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস ছাড়াও জমজমাট গেস্ট হাউস আর রেস্টুরেন্টের ব্যবসা। মাত্র বছর দুয়েক আগে এদেশে পাড়ি দিয়ে কী করে সম্ভব এতো সফলতার?

প্রথমত সেবা, দ্বিতীয়তা সততা আর আন্তরিকতা- একগাল হেসে এমনটাই জবাব দিলেন তিনি। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার আজবপুর গ্রামের সন্তান এ বি এম খোরশেদ আলম। বাবা মৃত আলহাজ আব্দুর রহমান। সাত ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট খোরশেদ আলম প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রবাসে।

ভাগ্য পরিবর্তনের প্রত্যাশায় ২০০০ সালে ওমানে পাড়ি জমানোর মাধ্যমে শুরু হয় তার প্রবাস জীবন। সেখানে বছর দেড়েক কাজ করেই পাড়ি জমান দুবাই। প্রথমে একটি শেখ পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। পরে মিনি সুপার মার্কেটে টেইলার্স, টেক্সটাইল শপ ও ভিলা ব্যবসা করে সফলতার মুখ দেখেন তিনি।

২০১০ সালে সেখানে আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিলে ফিরে যান দেশে। দেশে বছর দুয়েক থাকার পর ফের পাড়ি দেন ওমানে। এবার বছর দুয়েক অবস্থান করে তেমন সম্ভাবনা তৈরি না হওয়ায় ২০১৫ সালের মে মাসে চলে আসেন থাইল্যান্ডে। এখানেই এ বি এম গ্রুপের আওতায় গড়ে তোলেন রেস্ট হাউস, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম।

বাংলাদেশি হলে তার কাছে মেলে তালিকার চাইতেও বাড়তি সেবা। সব সময় চেষ্টা থাকে বাড়তি কিছু দেবার। ব্যস্ততার ফাঁকে অবসর পেলে দেশি পর্যটকদের নিয়ে নিজেই বেড়িয়ে পড়েন তিনি। লেটেস্ট মডেলের জিপ গাড়ি ড্রাইভ করে ঘুরিয়ে দেখান