গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারী ছুটি থাকায় কখন কোন দিন এ পন্য চুরি হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। আজ সোমবার সকাল ১০ টার সময় অফিস খোলার পর ওই লকারের তালা ভাঙ্গা দেখে চুরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি তদন্তর জন্য কাস্টমস কর্র্তৃপক্ষের আহ্বানে যশোর থেকে এসেছেন পিবি আই এর একদল গোয়েন্দা টিম, ডিবি পুলিশের তদন্ত টিম, র্যাব এর একটি তদন্ত দল এবং খুলনা থেকে সিআইডির একটি গোয়েন্দা টিম।
এছাড়াও ডিজিএফ আই, এনএসআই এর গোয়েন্দা সদস্যরার উপস্থিত ছিলেন। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে পর্যায় ক্রমে বিভিন্ন গোয়েন্দা, সদস্যবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে তাদের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সর্বশেষ বিকাল ৫ টা নাগাদ ডিবি, সিআইড, পিবিআই, র্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার কর্মকর্তা বৃন্দ ওই লকার রুমে প্রবেশ করেন। এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ৭ টায় তাদের কেউই ওই কক্ষ থেকে বের হন নাই।
বেনাপোল কাস্টমস এর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ওই লকারে মুল্যবান পন্য সামগ্রী ছিল ; তবে কি পন্য ছিল তা তিনি বলতে পারেননি ।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস এর সহকারি কমিশনার উত্তম কুমার চাকমা বলেন, লকারে চুরি হলে কিছু মাল থেকে যায় কিছু চোরে নিয়ে যায় এটা আমার বোধ গম্য নয়।
ওই লকারে তদন্তর সময় হাত পায়ের ছাপ নির্নয় করার সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসবির এ এসপি তৌহিদুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর সৈয়দ মামুন হোসেন, র্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম, এআরও জিএম আশরাফ, লকারের দায়িত্ব রত এআরও সাইফুল সরদার , বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান প্রমুখ।
বেনাপোল কাস্টমস এর যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, কি পরিমান অর্থ সম্পদ খোয়া গেছে এটা এই মুহুর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খতিয়ান এর হিসাব মিলিয়ে আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব।
স্থানীয় একাধিক মহলে প্রশ্ন এত নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে চুরির ঘটনা কি ভাবে ঘটল, এটা বোধ গম্য হচ্ছে না।