রংপুরে পাটের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৩৩ পিএম, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ | ৪৯০

রংপুরের মিঠাপুকুরে পাটের কারখানার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও রংপুর থেকে দমকল বাহিনীর ৮টি ইউনিট ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের জায়গীরহাট এলাকার ঈদুলপুরে অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল জুট মিলস্ (প্রাঃ) লিঃ এর স্থানীয় ওয়াহেদ চৌধুরী, আবুল কাশেম ও শ্রী বলরাম রায়ের মালিকানাধীন। গতকাল দুপুরে কারখানার গুদামে রহস্যজনকভাবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মুর্হুতেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও রংপুর থেকে দমকল বাহিনীর ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রয়ণে আনতে সক্ষম হয় অগ্নি নির্বাপক দল।

সরেজমিনে- নর্থ বেঙ্গল জুট মিলস্ (প্রাঃ) লিঃ এর পিছনে রয়েছে পশ্চিম ও পূর্বে লম্বা একটি গুদাম যাহা দক্ষিণ মূখী এবং এর সামনে রয়েছে জুট মিলের কারখানা আর পিছনে রয়েছে মালিকানাধীন কলাবাগান।এই গুদামের ভেতরে তিনটি অংশে বিভক্ত।পূর্ব দিকের ও অংশে কোন প্রকার কাঁচামাল ছিলো না।মধ্য ভাগের অংশ থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে যাহা মূহুর্তে পশ্চিম দিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

যৌথ মিল কর্তৃপক্ষের আবুল কাশেম এর সাথে প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে- তিনি প্রথমে এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ।পরে তিনি বলেন আমরা চিন্তিত এবং আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হলো তা আমরা বলতে পারবো না । তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে তিনি বলেন-আমরা সে ভাবে হিসেব করিনি তবে আমাদের আনুমানিক দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তাঁর এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন এলাকাবাসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসি বলেন, ‘ব্যাংক-বীমা, ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের কাছে অনেক টাকা ঋণগ্রস্থ্য হয়ে পড়ায় কাখানার মালিকপক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

আরো বলেন-এই প্রতিষ্ঠান প্রথমে একক মালিকানায় ছিলো বারবার লস হওয়ায় যৌথ মালিকানায় পরিণত হয়েছে।”

স্থানীয় কয়েকটি হাট বাজারের চায়ের দোকানে চলছে এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা-বলছেন ৫০ কোটি টাকার উর্দ্ধে ঋণ আছে এই প্রতিষ্ঠানের তাই নিজ প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়েছে তারা। কারণ এ ঘটনা ঘটিয়ে যদি কয়েক কোটি টাকা ঋণ মওকুফ পান কিংবা ঋণ মওকুফের জন্য এ কাজ করেছেন তারা। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালিকপক্ষ।

মিঠাপুকুর দমকল বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান-কারখানার গুদামে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা। তবে, কি ?কারণে আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। তবে কারখানার মালিক পক্ষ, সংঘটিত অগ্নিকান্ডে দেড় কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন বলে জানান তিনি।